• বৃষ্টিতে স্বস্তি ডুয়ার্সের চা বলয়ে, কমল সেচের খরচ
    বর্তমান | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তি ফিরল ডুয়ার্সের চা বলয়ে। গত ছ’মাস ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় জেরে উত্তরের চা শিল্পের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল। সঙ্গে দোসর হয়েছিল অতিরিক্ত তাপমাত্রা। চা মালিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টি পর্যাপ্ত না হওয়ায় গতবারের তুলনায় এ বছর চা পাতার পরিমাণ এক চতুর্থাংশ কমে গিয়েছে। চা গাছে লুপার, হেলোপেলটিস সহ নানা পোকারও উপদ্রবও শুরু হয়েছিল। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে শিলিগুড়িতে নিলামে পাঠানো ৭০ শতাংশ পাতাই তাই পড়েছিল। বাকি ৩০ শতাংশ পাতা নিলামে বিক্রি হলেও খারাপ গুণমানের জেরে সেই পাতা বিক্রির দামে মার খেয়েছেন চা মলিকরা। 

    শুধু তাই নয়। বৃষ্টির অভাবে চা গাছে কৃত্রিম সেচের খরচের বহরও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছিল। এই অবস্থায় এপ্রিল মাসজুড়ে যদি টানা তীব্র দাবদাহ চলত তাহলে চা শিল্পে আরও প্রভাব পড়ত। অবশেষে গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে চা মালিকদের সেই আতঙ্ক কিছুটা হলেও কাটল। 

    ডুয়ার্স ব্রাঞ্চ অব ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চা গবেষক রামঅবতার শর্মা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ডুয়ার্সে ভালো বৃষ্টি হয়েছে। আমরা খুশি। ঠিকমতো বৃষ্টি না হওয়ায় মার্চ মাসে ৫০ শতাংশ উৎপাদন মার খেয়েছে। এপ্রিলে যদি আরও কয়েকদিন বৃষ্টি হয় তাহলে মার্চের সেই ঘাটতি অনেকটাই পুষে যাবে বলে মনে করছি আমরা। উত্তরবঙ্গে সরকারিভাবে ৩০২টি চা বাগান। সিংহভাগ বাগানই অবশ্য পাহাড় ও তরাই-ডুয়ার্সে। বৃষ্টি হওয়ায় ডুয়ার্সজুড়ে চা মালিক ও চা শ্রমিকদের মধ্যে খুশির হাওয়া বইছে। আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। কারণ চা গাছে আর কৃত্রিম সেচ দিতে হবে না। সেচের খরচ এতে বেঁচে গেল। বৃষ্টি হওয়ায় চা গাছে পোকামাকড়ের উপদ্রবও কমবে।

     
  • Link to this news (বর্তমান)