• মহাকাশযান নিয়ে ইসরোয় প্রশিক্ষণের সুযোগ পেল বালুরঘাটের নিরভ্র বসাক
    বর্তমান | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, পতিরাম: ইসরোতে গবেষণামূলক পঠনপাঠন ও প্রশিক্ষণের সুযোগ পেলেন বালুরঘাটের নিরভ্র বসাক। ইসরোর সর্বভারতীয় স্তরের একটি পরীক্ষা দিয়েছিল নিরভ্র। তার মাধ্যমেই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাবন স্পেস সেন্টারে পঠনপাঠন ও নানা বিষয়ে গবেষণামূলক প্রশিক্ষণ নেবে নিরভ্র।

    নিরভ্র বালুরঘাটের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। তার বাড়ি বালুরঘাট শহরের চকভবানী থানা পাড়ায়। প্রতি বছর ইসরোর যুবিকা নামে একটি পরীক্ষা হয়। ওই পরীক্ষার মাধ্যমে পরপর দু’বছর পতিরামের দুই ছাত্রী এই সুযোগ পেয়েছিল। এবছর পশ্চিমবঙ্গের ১০ জন ছাত্র এই সুযোগ পেয়েছে। তাদের মধ্যে জেলার একমাত্র বালুরঘাট শহরের নিরভ্র রয়েছে। তার এই সাফল্যে সকলেই খুশি। 

    নিরভ্রের স্কুলের প্রিন্সিপাল এস পি সিনহা বলেন, আমাদের স্কুলের নিরভ্র ইসরোতে মহাকাশ গবেষণা নিয়ে প্রশিক্ষণ এবং পঠনপাঠনের সুযোগ পেয়েছে। এটা খুবই আনন্দের ও গর্বের।  তার এই সাফল্যে আমরা সকলেই খুশি। নিরভ্রের গৃহশিক্ষক ননীগোপাল মণ্ডল বলেন, দু’বছর আগে আমার মেয়ে এই সুযোগ পেয়েছিল। এবার আমার ছাত্র এই সুযোগ পেয়েছে। এই সুযোগ ছাত্রদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মহাকাশ বিজ্ঞানের উপরে পড়াশোনা করে পরীক্ষায় পাশ করে এই সুযোগ পাওয়া যায়। যা আগামীতে অনেক কাজে লাগবে। 

    এবিষয়ে নিরভ্র বলে, আমার  গৃহশিক্ষকের মাধ্যমেই আমি এই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়েছি। আমি দু’বছর ধরে এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষায় বসি। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ইসোরোতে গবেষণার জন্য সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার কাছে সত্যিই খুব আনন্দের বিষয়। 

    এমন সাফল্যে খুশি নিরভ্রের পরিবার। তার বাবা নেপাল বসাক। মা মৌসুমী চৌধুরী। দু’জনই পেশায় শিক্ষক। নিরভ্রের বাবা বলেন, ছোট থেকেই আমার ছেলের মহাকাশ বিজ্ঞান ও গবেষণা নিয়ে আগ্রহ ছিল। মহাকাশ জয়ী সুনীতা উইলিয়ামসকে নিয়েও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিল। এবার এই সুযোগ এসেছে। আগামী ১৬ মে আমরা ইসরোর উদ্দেশে রওনা দেব। মে মাসে ওই প্রশিক্ষণ হবে। ১৩ দিন ধরে অন্ধপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাবন স্পেস সেন্টারে ওই বিশেষ প্রশিক্ষণ চলবে। মূলত কীভাবে ইসরো থেকে রকেট উৎক্ষেপণ হয়, কীভাবে মহাকাশযান মহাকাশের পথে পাড়ি দেয়, এমনকী কীভাবে বিজ্ঞানীরা এই ধরনের গবেষণামূলক কাজ করেন, সমস্ত কিছু বাস্তবে হাতে-কলমে শেখানো হবে। বর্তমানে ওই ছাত্রছাত্রীরা ইয়াং সায়েন্টিস্ট হিসেবে গবেষণামূলক পঠনপাঠন করবে। আগামীতে তারা ওই বিষয়ে আরও পঠন পাঠন  করতে পারবে।  নিরভ্র বসাক। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)