• চাঁচলে জুনিয়র হাইস্কুলে ক্লাস নিতে হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষকদের
    বর্তমান | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: জুনিয়র হাইস্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। শিক্ষকসঙ্কটের মূহুর্তে তারাই কার্যত ভরসা। চাঁচল-২ ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কানাইপুর জুনিয়র হাইস্কুলের এখন এমনই অবস্থা। কিন্তু, পঠনপাঠনের জন্য স্থায়ী শিক্ষক নেই। ফলে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। স্থায়ী শিক্ষকের অভাবে পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে সেখানে। 

    শিক্ষার প্রসার ঘটাতে স্কুলটি ২০০৯সালে চালু হয়। সেখানে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১৭০জন পড়ুয়া পাঠরত। তিনতলা সুবিশাল স্কুল ভবন। কিন্তু পাঠদানের জন্য মাত্র দু’জন অতিথি শিক্ষক। সম্প্রতি সুপ্রিম রায়ের পর একজন অশিক্ষক কর্মীও আর স্কুলে আসছেন না। অতিথি শিক্ষকেরা স্কুল চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, মিডডে মিল থেকে শুরু করে ইউনিট টেষ্ট, ক্লাস নেওয়া সহ অফিসের যাবতীয় কাজ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কুল সূত্রে খবর, পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে পার্শ্ববর্তী প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকেরা ক্লাস নিতে আসছেন। তবে এইভাবে কতদিন চলবে! দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ না হলে স্কুল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা অভিভাবকদের।

    স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা অভিভাবক মহম্মদ জিন্নাহ আলি বলেন, তিনতলা স্কুল ভবনে দশটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। পানীয় জল থেকে শুরু করে শৌচালয় ও স্কুলের সমস্ত পরিকাঠামো উন্নত। কিন্তু মূল সমস্যা শিক্ষক নিয়েই। শিক্ষক সঙ্কটে পড়ুয়াদের পাঠদান সঠিকভাবে হচ্ছে না। শিক্ষক সঙ্কট না মিটলে পরবর্তীতে স্কুল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই সমস্যা নিয়ে কানাইপুর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক পলাশ মণ্ডল বলেন, পড়ুয়ারা ক্লাস চলাকালীন বাইরে ঘোরাঘুরি করে। তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে মানবিক হয়ে আমরা ক্লাস নিচ্ছি। পর্যাপ্ত শিক্ষক থাকলে আমরা যেতাম না। কানাইপুর জুনিয়র হাইস্কুলের অতিথি শিক্ষক মহম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, সুপ্রিম রায়ের পর একজন অশিক্ষক কর্মী স্কুলে আসছে না। আমি অবসরের পর এই স্কুলে যোগদান করেছি। দু’জন অতিথি শিক্ষক স্কুল চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। সমাধান দরকার। 
  • Link to this news (বর্তমান)