• ওয়াকফের বিরোধিতা করে মমতা কিছুই করতে পারবেন না: দিলীপ
    বর্তমান | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: ওয়াকফ সংশোধনী বিল আইন হয়ে গিয়েছে। তার বিরোধিতা করেও কিছু করতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নলহাটিতে সাংবাদিককের একথা বললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, এর আগে সিএএ, ৩৭০ ধারারও বিরোধিতা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুই করতে পারেননি। তিন তালাক তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেরকমই ওয়াকফ সংশোধনী আইনে পরিণত হয়েছে। ওঁর পার্টির নেতারা যেসব ওয়াকফ সম্পত্তি ভোগদখল করছেন সেগুলি ছাড়তে হবে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ থেকে মালদহ যাওয়ার পথে নলহাটি শহরে একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে যান দিলীপবাবু। সেখানেই তিনি মধ্যাহ্নভোজ সারেন। তারপরই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। 

    শিক্ষকদের চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একটা রাস্তা দেখিয়েছেন। তিনি কেসটা পুরো জানেন। সমাধান কী হতে পারে উনি বলেছেন। জানি না এখানকার রাজ্য সরকার তাঁর কোনও সহযোগিতা নেবেন কিনা। এই ১৮ হাজার যোগ্য চাকরিপ্রার্থীর তথ্য কোর্টে জমা দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবছেন টাকা পয়সা যারা নিয়েছেন তাঁদের কী করে বাঁচাবেন। অনেক নেতা পালিয়ে গিয়েছেন। যাঁরা টাকা দিয়েছেন তাঁদের খুঁজছেন। যারা কিংপিন ছিল তারা এখন জেলে। টাকাও গেল, চাকরি গেল। অভিষেকবাবুর কাছে তো তাঁরা পৌঁছতে পারবেন না। টাকা দিয়েও যাঁদের চাকরি গিয়েছে সেই অযোগ্যরাও কালীঘাট অভিযান করবে। এখন যোগ্যরা কালীঘাট অভিযান করছেন। 

    মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক তাঁকে গুণ্ডা বলেছেন। এই নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, আমি যদি গুণ্ডামি করি তাহলে কার কী করার আছে? মুর্শিদাবাদে দু’দিন ধরে ঘুরে বেড়ালাম। মুর্শিদাবাদ কি ভারতের বাইরে? আমিও দেখতে চাই ওরা কত দেশদ্রোহিতা করতে পারে। যারা দেশ রিরোধী, বিচ্ছিন্নতাবাদী এদের জবাব এখানকার সমাজই দেবে। তিনি বলেন, ২৬ সালে এই রাজ্য সরকার চলে যাবে। নতুন সরকার আসবে। মানুষ বুঝতে পেরেছে এই সরকার বেশিদিন থাকলে খুন, হিংসা, দুর্নীতি বাড়বে এবং ধীরে ধীরে পশ্চিমবাংলার ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। 

    তিনি বলেন, ওদের বাড়ির ঝগড়া আগে চাপে ছিল। এখন ফেটে যাচ্ছে। এদের না আছে কোনও আদর্শ, না কেউ কাউকে মানছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও কোনও কন্ট্রোল নেই। এখন অর্ন্তজলি যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে। এদের তো কংগ্রেসী কালচার। উটের কুঁ঩জে ঘায়ের মতো। ঘা শুকাবে, উটও মরবে।  

    তৃণমূলের বীরভূম জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, সংসদে যেহেতু ওদের সংখ্যা বেশি সেই জোরেই সংবিধান বর্হিভূত একটার পর একটা কাজ করে যাচ্ছে। এতে আগামী দিনে মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না। শুধুমাত্র সাম্প্রদায়িক তাস খেলে তারা বাংলা দখল করতে চাইছে। কিন্তু, বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কারও দাঁত ফোটানো মুশকিল আছে। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকল ধর্মের মানুষকে নিয়ে উন্নয়নের কাজে এগিয়ে চলেছেন। সিপিএম- বিজেপি মিলে শিক্ষকদের চাকরি খেয়েছে। কিন্তু, যাঁরা বহু কষ্ট করে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের যাতে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়, সেব্যাপারে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
  • Link to this news (বর্তমান)