• পূর্ব রেলের জিএমের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক, অবরোধ পুনর্বিবেচনা নিয়ে আজ সিদ্ধান্ত
    বর্তমান | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: দীর্ঘ বঞ্চনার প্রতিবাদে আগামী ২০ এপ্রিল রেল অবরোধের ডাক দিয়েছে নলহাটি নাগরিক মঞ্চ। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার নলহাটি জংশনে এসে মঞ্চের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করলেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ কে দেউস্কর। জংশনের উন্নয়নের কথা বললেও বিভিন্ন ট্রেনের স্টপেজ দাবির ব্যাপারটি রেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের উপর ছাড়লেন তিনি।  

    আপ ও ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা, কুলিক ও ডাউন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের স্টপেজ, স্টেশনের উন্নয়ন ও করোনা কালে বন্ধ থাকা প্যাসেঞ্জার ও লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে নলহাটি নাগরিক মঞ্চ। গত দু’বছরে বেশ কয়েকবার অবরোধের ডাক দিয়ে রেল কর্তাদের আশ্বাসে পিছু হটতে হয়েছে তাঁদের। কিন্তু আশ্বাস ছাড়া কিছু মেলেনি। পাশাপাশি ১১ ফেব্রুয়ারির ডিআরএম অনুপস্থিত থেকেছেন। অভিযোগ, রেল কর্তারা তাচ্ছিল্য করায় মঞ্চের সদস্য থেকে এলাকার বিধায়ক রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিং বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এরপর আগামী ২০ এপ্রিল বডসড় রেল অবরোধের ডাক দেন মঞ্চের সদস্যরা। মঞ্চের দাবি, রেল যদি আগাম বৈঠকে বসতে চায় তাহলে সেখানে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে ডিআরএম বা জিএমকে।  

    এদিকে রেল অররোধের জোর প্রস্তুতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার নলহাটি জংশন পরিদর্শনে এসে মঞ্চের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন জিএম। রাজেন্দ্র মিশ্র বলেন, জিএম আমাদের বলেছেন কুলিক এবং ডাউন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের স্টপেজের প্রস্তাব রেলবোর্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, প্ল্যাটফর্ম এক্সটেনশন এবং তিনটি প্ল্যাটফর্মে যাত্রী সুবিধার্থে চলমান সিঁড়ি বসানো হবে।  পশ্চিম দিকে ফুট ব্রিজ এক্সটেনশন করা হবে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, দিন পনোরোর মধ্যেই রামপুরহাট নলহাটি হয়ে আজিমগঞ্জ পর্যন্ত কিছু মেমু চালানো হবে। তবে এখানে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের স্টপেজ বা করোনাকালে বন্ধ থাকা ট্রেন চালু নিয়ে কিছু বলেননি জিএম। 

    জিএম বলেন, যেসব ট্রেনের স্টপেজ এখানে যুক্তিযুক্ত সেগুলির প্রস্তাব রেলবোর্ডে পাঠানো হয়েছে। তবে আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে রামপুরহাট নলহাটি হয়ে আজিমগঞ্জ পর্যন্ত কিছু মেমু চালানো হবে। নলহাটির জ্বলজ্যান্ত সমস্যা ২৭ নম্বর রেলগেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওখানে আরওবির অনুমোদন ছিল। কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু কিছু জমি রাজ্য সরকারের অধীনে রয়েছে। জমি সমস্যার জন্য কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যদি রাজ্য সরকার সেই জমি দেয় তাহলে পুনরায় আরওবি নির্মাণের কাজ শুরু করে দেব। আর যদি জায়গা কম থাকে তাহলে সাড়ে তিন মিটার উঁচু সাবওয়ে নির্মাণের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। তাতে অ্যাম্বুলেন্স, বাস যেতে পারবে। মানুষ চাইলে সার্ভে করে সেই কাজ শুরু করে দেব। 

    অন্যদিকে জংশনের আরেক দিকে আজিমগঞ্জ রেলগেটের সমস্যা নিয়েও জিএম বলেন, আগে রেল ও রাজ্য ৫০ শতাংশ করে টাকা দিয়ে আরওবি নির্মাণ করত। মাস ছয়েক আগে সেই নিয়মে বদল এসেছে। রেল একশো শতাংশ টাকা খরচ করবে। ইঞ্জিনিয়ার সেটা সার্ভে করে দেখবেন। আর সাবওয়ে চাইলে এখনই অনুমতি দিয়ে দেব। 

    তবে এই বৈঠকের পর ২০ এপ্রিল রেল অবরোধ হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট করেনি মঞ্চ। সিদ্ধান্ত নিতে আজ শুক্রবার বৈঠকে বসতে চলেছেন তাঁরা। 
  • Link to this news (বর্তমান)