সংবাদদাতা, বহরমপুর: শক্তিপুরে গ্রামীণ এলাকার বইমেলায় বইপ্রেমীদের ঢল নামল। ‘ভোরের পাখি’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে ৫ এপ্রিল থেকে বইমেলা শুরু হয়েছে। বেলডাঙা-২ ব্লকের শক্তিপুর কুমার মহিমচন্দ্র ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গণে ১২এপ্রিল পর্যন্ত এই বইমেলা চলবে। উদ্যোক্তারা জানান, ছাত্রছাত্রী সহ এলাকার মানুষকে বইমুখী করা, বিপন্ন সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার ও এলাকায় সম্প্রীতির বাতাবরণ ফেরাতেই বইমেলা আয়োজন করা হয়েছে। বইমেলা কমিটির আহ্বায়ক তুষারকান্তি দুবে বলেন, পড়ুয়ারা আজ বই ছেড়ে মোবাইল ধরেছে। ২৪, ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি এলাকায় সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজিত হয়েছিল। সেখানেই আমি বইমেলা আয়োজনের প্রস্তাব রাখি। সবাই রাজি হওয়ায় আমরা আয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। শক্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পিন্টু মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ২০১৮ এবং ২০১৯সালে পরপর দু’বছর প্রতাপ সঙ্ঘের মাঠে শক্তিপুর বইমেলা ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। করোনার কারণে সেই বইমেলা বন্ধ হয়ে যায়। ‘ভোরের পাখি’র বইমেলা কমিটির সম্পাদক প্রকাশ মণ্ডল বলেন, বইমেলার কোনও বিকল্প হয় না। রামনগর থেকে সাঁটুই এলাকার প্রতিটি স্কুলে গিয়ে আমরা পড়ুয়া ও শিক্ষকদের মেলায় শামিল হতে আবেদন করেছি। এবিষয়ে ব্যাপক সাড়াও পেয়েছি। বইপ্রেমীদের ভিড় আমাদের উজ্জীবিত করেছে। আগামী বছর বইমেলার আরও প্রসার ঘটাব।
এবারের মেলায় মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জেলার ৩২টি স্টল রয়েছে। প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলছে। প্রবেশ অবাধ। প্রতিদিন বিকেল থেকে স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। বইমেলা উপলক্ষ্যে স্মরণিকা ‘মেলাবই’ প্রকাশিত হয়েছে। আয়োজকরা জানান, মেলায় আসা সমস্ত প্রকাশক সংস্থার কর্মীদের দু’বেলা রান্না করে খাওয়ানো হচ্ছে। স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে রান্নার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন ভোরের পাখি সংগঠনের সদস্য গীতা বিশ্বাস বন্দ্যোপাধ্যায়। মেলা কমিটির সভাপতি শত্রুঘ্ন ঘোষ বলেন, প্রকাশক সংস্থাগুলি যাতে আগামী বছর ফের মেলায় অংশ নেয়, সেই জন্যই রান্না করে খাওয়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শক্তিপুর বইমেলা এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।