কেষ্টপুরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার প্রৌঢ়
বর্তমান | ১১ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: যাতে সোজা হতে পারেন, তার জন্য পিঠে অপারেশন করে বসানো আছে রড। সেই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ২০ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল ৫২ বছরের এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। বাগুইআটির কেষ্টপুর রবীন্দ্রপল্লির এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়েছে। অভিযোগ পাওয়ার ৪৫ মিনিটের মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে বাগুইআটি থানার পুলিস। ধৃতের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন তরুণীর পরিবার। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম কৌশিক ভট্টাচার্য। সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কেষ্টপুর রবীন্দ্রপল্লি এলাকায় কৌশিকের বাড়ি। কিছুটা দূরেই থাকেন নির্যাতিতা তরুণী। সেই সূত্রে একে অপরের পরিচিত। কৌশিক পেশায় গৃহশিক্ষক। অভিযোগ, তিন-চারদিন আগে চকোলেট দেওয়ার নাম করে কৌশিক ওই তরুণীকে নিজের ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তাঁকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তরুণীকে ফের রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায় সে। বাড়ি ফেরার পর তরুণীকে দেখে সন্দেহ হয় তাঁর দিদির। এরপর বোনের আচরণ ও কথাবার্তায় কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেন তিনি। দিদি পেশায় আইটিকর্মী। তিনি বোনের সঙ্গে কথা বলার পর জানতে পারেন, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। নির্যাতিতা তরুণীই অভিযুক্তের নাম বলেন।
এরপরই বুধবার বিকেলের পর নির্যাতিতাকে নিয়ে বাগুইআটি থানায় যান দিদি। ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিসের একটি টিম সঙ্গে সঙ্গে কেষ্টপুরের রবীন্দ্রপল্লিতে হানা দেয়। ৪৫ মিনিটের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয় কৌশিক ভট্টাচার্যকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ওই তরুণী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। অত্যন্ত কষ্ট করে জীবন কাটান তিনি। তাঁর অসহায়তার সুযোগ নিয়ে ওই প্রৌঢ় পৈশাচিক অপরাধ করেছে। ধৃতের বিরুদ্ধে যেন কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।
পুলিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ধৃতকে বারাসত জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তদন্তের জন্য পুলিস তাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে। আদালত তিনদিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনা পুনর্নির্মাণ করা হবে।