• বিজেপির ঘরোয়া সম্মেলনে জেলার সহ সভাপতিকে ধাক্কা, মারধরের অভিযোগ
    বর্তমান | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: বিজেপির সক্রিয় সদস্যদের নিয়ে ঘরোয়া সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত দলের সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি। এই নেতাকে দেখেই ক্ষোভ উগড়ে দেয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশ। বুধবার ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের সাঁপুইপাড়ায় বিজেপির ঘরোয়া সম্মেলন ঘিরে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। সহ সভাপতিকে ধাক্কা দেওয়া, এমনকী চেয়ার ছুড়ে মারার অভিযোগও উঠেছে। ছাব্বিশে বিধানসভা ভোটের আগে ঘরোয়া কোন্দল নিয়ে অস্বস্তিতে জেলার পদ্ম শিবির।

    জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় সাঁপুইপাড়ায় বিজেপির ডোমজুড় ২ নম্বর মণ্ডলের সক্রিয় সদস্যদের নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হাজির ছিলেন শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি গোবিন্দ হাজরা। তাঁকে সভায় ঢুকতে দেখেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে গোবিন্দবাবু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার পর তাঁকে নিয়ে ক্ষোভ ছিল দলের অন্দরে। এরপর তাঁকে শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি করা হলে তা মেনে নিতে পারেননি দলের অনেকেই। কর্মী সম্মেলনে সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে দাবি পদ্ম শিবিরের। গোবিন্দ হাজরাকে ধাক্কা দেওয়ার পাশাপাশি সভাস্থলে চেয়ার ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় শেষমেশ ওই সভা পণ্ড হয়ে যায়। খানিক বাদে বিজেপির ওই নেতাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

    এ নিয়ে গোবিন্দ হাজরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এমন কিছু হয়নি। নিজেদের মধ্যে এটুকু হতেই পারে। এটা বিরোধীদের অপপ্রচার।’ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুমন ঘোষ বলেন, ‘দলের তরফে কোনও অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনাটি শুনেছি। কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকতেই পারে।’ 

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপি কর্মীদের অনেকেই বলেন, সদ্য ডোমজুড় ২ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি পদে যাঁকে বসানো হয়েছে, তিনি রাজনৈতিক মহলে গোবিন্দবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সেকারণেই দলের অভিজ্ঞ কোনও কর্মীকে মণ্ডলের দায়িত্ব না দিয়ে এক ঘনিষ্ঠকে সভাপতি করেছেন গোবিন্দবাবু। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, মণ্ডল স্তরে এই ধরনের অন্তর্কলহের ঘটনা আখেরে পদ্মের ঘরে ফাটল আরও চওড়া করছে। এর ফলে বাড়তি মাইলেজ পাবে তৃণমূল। তৃণমূলের ডোমজুড় কেন্দ্রের সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, ‘বিজেপির ঘরোয়া বিষয় নিয়ে আমরা একেবারেই চিন্তিত নই। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে গ্রামীণ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করাই আমাদের লক্ষ্য।’  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)