• ধোবিঘাটে পড়ে আছে কংক্রিটের জেটি চলছে ভাঙা কাঠের সেতু দিয়ে পারাপার
    বর্তমান | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: বারাকপুর-শ্রীরামপুরের মধ্যে জলপথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ধোবিঘাট। কিন্তু সেখানকার কাঠের জেটি এখন খুব বিপজ্জনক অবস্থায়। জেটিতে কোনও রেলিং নেই। শ্রীরামপুর থেকে প্রচুর ছেলেমেয়ে পড়তে আসে বারাকপুরের বিভিন্ন স্কুলে। গত বছর বর্ষার সময় একটি স্কুলের শিশু গঙ্গায় পড়ে গিয়েছিল। অথচ পাশে একটি পাকা জেটি তৈরি হয়ে পড়ে। সেটি আজও চালু করা যায়নি। রাজ্য সরকার ওই জেটি তৈরি করলেও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড তার অনুমোদন দেয়নি। ফলে সেটি এখনও তালাবন্ধ হয়ে পড়ে।

    এদিকে, ধোবিঘাট থেকে শ্রীরামপুর পর্যন্ত ফেরি পরিষেবার ভাড়াও বেড়েছে। মাথাপিছু সাত টাকা থেকে হয়েছে আট টাকা। মান্থলি ৩২০ টাকা থেকে হয়েছে ৩৭০ টাকা। তারপরেও রোজ হাজার হাজার নিত্যযাত্রীকে ভাঙা জেটি পার হতে হচ্ছে। এই অসহায় অবস্থার কথা তাঁরা ছবি সহ উত্তর ২৪ পরগনা ও হুগলির জেলাশাসক, বারাকপুরের মহকুমা শাসক এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সিইওকে জমা দিয়েছেন। দ্রুত ওই কাঠের জেটিতে রেলিং বসানোর দাবিও জানিয়েছেন। তাছাড়া রোজ সন্ধ্যার পরে ধোবি ঘাটের ধারে মদের আসর বসে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।

    ছেলেকে বারাকপুরের স্কুলে দিতে আসেন শ্রীরামপুরের শিবানী সরকার। তিনি বলেন, কাঠের জেটিটির এমন অবস্থা যে, বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। একটু বৃষ্টি হলে পিচ্ছিল হয়ে যায়। অবিলম্বে জেটিতে রেলিং দেওয়া দরকার। তাছাড়া সন্ধ্যার পরে ওই জেটি দিয়ে যাতায়াত করা মহিলাদের কাছে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা নিত্যযাত্রীরা তাই গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে ছবি দিয়ে প্রশাসনের সব স্তরে চিঠি দিয়েছি। স্থায়ী পাকা জেটি তৈরি হলেও কোনও অজ্ঞাত কারণে আজ পর্যন্ত তা চালু করা গেল না। অবিলম্বে সেটি চালু করা দরকার। 

    এ ব্যাপারে বারাকপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ বারিক বলেন, ওই জেটি সম্পর্কে একটি চিঠি পেয়েছি আমরা। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তদন্ত করে পরিবহণ দপ্তরের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট 

    পাঠাব।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)