এই সময়, মালদা: ঘনঘন পাড়াতে সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছিল। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেও পুলিশের হাতে ধরা পড়ছিল না চোর। এই অবস্থায় বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় চুরি করতে দেখে ধাওয়া করে চোর পাকড়াও করলেন এক মহিলা। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাচামারি গভর্মেন্ট কলোনি এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে গণপ্রহার দেন। খবর পেয়ে পুরাতন মালদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে চোর সন্দেহে ওই যুবককে আটক করে নিয়ে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ দিনের মধ্যে বাচামারির গভর্নমেন্ট কলোনি এলাকা থেকে অন্তত ১২টি দামি সাইকেল চুরি গিয়েছে। এলাকার কয়েকটি বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেছে সেই চুরি ধরাও পড়েছে। কিন্তু চোর ধরা পড়ছিল না। এ দিন এলাকার ব্যবসায়ী অধীর ঘোষের বাড়ির বারান্দা থেকে তাঁর ছেলের একটি দামি নতুন সাইকেল চুরি করে পালাবার চেষ্টা করে এক যুবক।
ঘরের ভিতরে কাজ করার সময়ে সিসিটিভি ক্যামেরায় বিষয়টি নজর পড়ে যায় ঘোষ পরিবারের গৃহকত্রী মিনতিদেবীর। এরপরই চিৎকার করে চোরের পিছু ধাওয়া করেন তিনি। বেগতিক বুঝে সাইকেল ফেলে ওই মহিলাকে অভিযুক্ত খুনের হুমকি দেয়। কিন্তু তারপরও মিনতি ভয় না পেয়ে চোরের গেঞ্জির কলাট ধরে চিৎকার শুরু করে দেন। আর তাতেই আশেপাশের লোকজন এসে ওই যুবককে ধরে ফেলেন।
মহিলা বলেন, ‘এখানে প্রতিদিনই চুরির ঘটনা ঘটছে। আমার মতো অনেকেই চোর ধরার জন্য সজাগ রয়েছেন। হাতেনাতে অভিযুক্তকে এ দিন ধরতে পেরেছি।’ তাঁর স্বামী অধীর বলেন, ‘অল্পবয়সি মাদকাসক্ত এই অপরাধমূলক কাজকর্ম করছিল। আগেও বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিন্তু চোর ধরা পড়ছিল না। এ দিন আমার স্ত্রী দৌড়ে গিয়ে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে।’
পুরাতন মালদা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর শ্যাম মণ্ডল বলেন, ‘এলাকায় ব্রাউন সুগারের মতো বেআইনি নেশার কারবার চলছে। তাতেই কিছু অল্পবয়সিরা আসক্ত হচ্ছে। অবিলম্বে এই নেশা বন্ধ করার ক্ষেত্রে পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।’ প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদার তাঁতিপাড়া এলাকার ওই যুবকের বাড়ি। অভিযুক্তকে আটক করার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।