দেবব্রত মণ্ডল: পুলিশের সমালোচনায় এবার চর্চায় যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষের বক্তব্য। কসবায় চাকরিহারাদের উপর লাঠিচার্জের ঘটনায় পুলিশের আরও ‘মানবিক’ হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন সায়নী। ঘটনার পরপরই বুধবার তিনি বলেছিলেন, “এরকম ঘটনা হওয়া উচিত না। যে কোনও পরিস্থিতিতেই পুলিশের এমন আচরণ উচিত না। যাঁদের রুজিরুটি চলে গিয়েছে, যাঁরা যোগ্য প্রার্থী, যাঁরা বলি হচ্ছেন সিপিএম-বিজেপির রাজনীতির, তাঁদের সম্পর্কে এই মুহূর্তে আরও মানবিক হওয়া উচিত বলে আমার মনে হয়।”
সায়নীর এই মন্তব্য নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে।
বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, যেখানে তৃণমূলের ছাত্র-যুব সংগঠন একত্রে মিছিল করছেন, সেখানে তাদের যুব সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী নিজেই পুলিশের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তৃণমূলের নেতাদের এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কেউ যদিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সায়নী যা মন্তব্য বুধবার করেন, নতুন করে বৃহস্পতিবার আর তার উপর কোনও মন্তব্য করেননি। সায়নীর এমন মন্তব্যের কোনও ব্যাখ্যা দলের তরফে না মিললেও, নানা প্রতিক্রিয়া হয়েছে বিরোধী দলগুলির তরফে। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যর বক্তব্য, “সায়নী ঘোষ কী বলছেন কিছু যায় আসে না। দলটা চালান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সংস্কৃতি হচ্ছে লাথি মারা। পুলিশ যা করেছে তা সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন।”
প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র অশোক ভট্টাচার্যর বক্তব্য, “পুলিশ যে আচরণ শিক্ষক সমাজের প্রতি করল তাতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আস্থা তলানিতে চলে গিয়েছে। যে কোনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ পুলিশের এই নির্যাতনের নিন্দা করবেনই। সায়নী ঘোষ যদি এ কথা বলে থাকেন তাহলে কিছু ভুল বলেননি।” সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রাক্তন বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “পুলিশ নির্মমতা ও বর্বরতার দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। সেই পুলিশকে মাথায় তুলে তৃণমূল নাচছে। তার মধ্যে সায়নী ঘোষের কথায় সংবেদনশীলতার প্রতিফলন রয়েছে।”