এদিকে, আজ আবার বিকাশ ভবনে চাকরিহারাদের বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকে থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। চাকরিহারাদের ৭-৮ জন প্রতিনিধি থাকার কথা। আদৌ বৈঠকে যোগ দেবেন চাকরিহারারা? কী বার্তা দেবেন শিক্ষামন্ত্রী? সেদিকে নজর প্রায় সকলের।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ প্রক্রিয়া ‘অসাংবিধানিক’ ও ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ বলে তোপ দেগে সম্প্রতি এসএসসির ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এক নিমেষে চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সেই চাকরিহারাদের মধ্যে যারা ‘যোগ্য’তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার জানান, ‘যোগ্য’ একজনেরও চাকরি যাবে না। একাধিক বিকল্প পরিকল্পনা করা রয়েছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী সকলকে নিয়মিত স্কুলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন, “কাজ করে যান। বাচ্চাদের শিক্ষা দিন। ২ টো মাস কষ্ট করুন।”
তাতেও স্কুলমুখো হননি ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের একটা বড় অংশ। বরং অধিকার বুঝে নিতে আন্দোলনের পথ বেছে নেন তাঁরা। বুধে চাকরিহারাদের ডিআই অফিস অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা বাংলা। কসবায় লাঠিচার্জের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এরই মাঝে মহামিছিল ও এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। সেই মিছিলে পা মেলান জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতো, আসফাকুল্লা নাইয়া থেকে শুরু করে বাদশা মৈত্ররা। এদিকে আবার বেশ কয়েকজন এসএসসি ভবনের সামনে রিলে অনশনও করছেন।