• ওয়াকফ আইন: জনমত জোগাড়ে কমিটি পদ্মের
    আনন্দবাজার | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • ওয়াকফ সংশোধনী আইন ঘিরে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত। আজও বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখিয়েছে একাধিক মুসলিম সংগঠন। এই আবহে ওই আইনের ইতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরতে জনসচেতনতা অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ওই অভিযান। তার রূপরেখা গঠন করতে একটি কমিটি তৈরি করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। এ দিকে, সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা মামলার শুনানি শুরু হবে ১৬ এপ্রিল। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন।

    আজ দলের সদর দফতরে গোটা দেশ থেকে আসা কর্মীদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী কিরেন রিজিজু দাবি করেন, “তুষ্টিকরণের লক্ষ্যে মুসলিমদের ভুল বোঝাচ্ছেন বিরোধীরা। ওই আইন পসমন্দা মুসলিমদের উন্নয়ন ও বিশেষ করে মুসলিম মহিলাদের স্বশক্তিকরণের লক্ষ্যে নিয়ে আসা হয়েছে।” ওই আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার যে অভিযোগ উঠেছে, তা-ও খারিজ করে দিয়ে রিজিজু বলেন, “ওয়াকফ কাউন্সিলে অ-মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে গেল-গেল রব উঠেছে। ওয়াকফ বোর্ড ও কাউন্সিলে অ-মুসলিমদের ভূমিকা হল প্রশাসনিক। ওয়াকফের ব্যবস্থাপনা দেখবেন তাঁরা। কোনও ভাবেই ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপের অধিকার থাকবে না।”

    আজ বৈঠকে নানা বিজেপিশাসিত রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য, দলের সংখ্যালঘু শাখার প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। সূত্রের মতে, বৈঠকে জনসচেতনতা অভিযানের জন্য যে কমিটি গঠিত হয়েছে, তাতে দলের সংখ্যালঘু শাখার সভাপতি জামাল সিদ্দিকি ছাড়াও, দলের সাধারণ সম্পাদক রাধামোহন দাস, দুষ্মন্ত গৌতমেরা আছেন। দলীয় সূত্রে বলা হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন এবং মুসলিম সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে করবে কমিটি। উর্দু ও হিন্দিতে তৈরি একটি প্রশ্নোত্তরও বিলি করা হবে সংখ্যালঘু প্রধান এলাকায়।

    এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওই আইনের প্রতিবাদে ধারাবাহিক ভাবে পথে নেমে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন মুসলিমরা। ওই সব বিক্ষোভের পিছনে মুষ্টিমেয় কিছু মুসলিম নেতার স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে বলে গতকাল মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ শাহের সেই বক্তব্যকে সমর্থন করে বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নকভি বলেন, “ওই আইনের ফলে সামগ্রিক মুসলিম সমাজের উপকার হবে। কিন্তু কিছু লোক নিজেদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হওয়ায় সবাইকে ভুল বুঝিয়ে বিরোধিতার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)