• ‘দুষ্টু’ তাপপ্রবাহ ভ্যানিশ, কালবৈশাখী-বৃষ্টির যুগলবন্দি আজও
    এই সময় | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মিলিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় ঝড় ও বৃষ্টি হয়েছে। চৈত্রের দাবদাহে অনেকটা স্বস্তিও মিলেছে তাতে। নেমেছে পারদ। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে রাজ্যের ১৪টি জেলায় বৃষ্টি হয়েছে বৃহস্পতিবার। কলকাতা-সহ পাঁচ জেলায় কালবৈশাখী দাপট দেখিয়েছে। আজ, শুক্রবারও জেলায় জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    আজ শুক্রবার ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইতে পারে। সতর্কতা থাকবে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে।

    মরশুমের প্রথম কালবৈশাখীর হাত ধরে কলকাতায় বৃহস্পতিবার রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে সাড়ে ৪ ডিগ্রি নেমে গিয়েছে। বুধবার রাতের তাপমাত্রা যেখানে ছিল ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার রাতের তাপমাত্রা নেমে আসে ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪৮ থেকে ৯০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় গড়ে ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবারও বৃষ্টি হতে পারে শহরে। দিনভর স্বস্তিদায়ক আবহাওয়াই থাকবে।

    শুধু শুক্রবারই নয়, সপ্তাহান্তে অর্থাৎ শনিবার ও রবিবারও ঝড়বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

    দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গে জেলাগুলিতেও। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড় বাতাস বইতে পারে।

  • Link to this news (এই সময়)