• মাদক মামলায় রাজ্য এসটিএফের বিরাট সাফল্য, ৫ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ বর্ধমান আদালতের
    এই সময় | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • রাজ্য এসটিএফ-এর করা মাদক সংক্রান্ত মামলায় ৫ জনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছে বর্ধমান জেলা মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালত। এছাড়াও প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের। বুধবারই অভিযুক্ত ৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বর্ধমান জেলা মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালত। তারপর বৃহস্পতিবার সাজা শোনানো হয় আদালতের পক্ষ থেকে। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, হরেকৃষ্ণ বালা ওরফে মরণ বালা ও তার ছেলে শুভঙ্কর বালা ওরফে শুভ। এরা পূর্বস্থলী থানার দশঘড়িয়ায় বাসিন্দা। এছাড়াও সাজা পেয়েছেন খাম্বি সিং, বুম্বা সিং ও মতিলাল সিং।

    এসটিএফ-এর হাতে গ্রেপ্তারের পর থেকে শুভঙ্কর বালা ছাড়া বাকিরা জেলেই ছিল। শুভঙ্করের জামিন মঞ্জুর করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে নেওয়া হয়। বর্ধমান জেলা মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালতের বিচারক মনোজ কুমার রাই ৫ জনকে এনডিপিএস অ্যাক্টের মামলায় বৃহস্পতিবার সাজা শোনান।

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারী মণিপুর থেকে একটি ট্রাকে করে পূর্বস্থলীতে গাঁজা আনা হচ্ছে বলে খবর পায় রাজ্য স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। সেইমতো ঘটনার দিন দুপুর থেকে পূর্বস্থলীর সুলুন্টু মোড়ের কাছে নজরদারি শুরু করে তাঁরা। হরেকৃষ্ণ বালা ওরফে মরণ বালা ও তার ছেলে শুভঙ্কর বালার কাছে বিপুল পরিমাণ গাঁজা আসছে বলে আগে থেকেই খবর ছিল। তাই তাদের আগেভাগে আটক করা হয়। তারাই এসটিএফের গোয়েন্দাদের ট্রাকটি চিনিয়ে দেয়।

    এরপর ট্রাকটিতে তল্লাশি চালাতে গেলে চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারীদের। চালকের কেবিনের পিছনে তৈরী বিশেষ কুঠুরী থেকে থরে থরে সাজিয়ে রাখা প্রায় ৫৬ টি গাঁজার প্যাকেট উদ্ধার হয়। বিশেষভাবে তৈরী ওই কুঠুরী কেটে গাঁজার প্যাকেট বের করে এসটিএফ। ৫৫ টি প্যাকেটে ছিল প্রায় ৮২৪ কেজি ২০০ গ্রাম মণিপুরী গাঁজা। ট্রাকে মণিপুরের বাসিন্দারাও ছিলেন। এসটিএফের তরফে ঘটনার কথা জানিয়ে লিখিতভাবে পূর্বস্থলী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    এসটিএফের আইনজীবী অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলেন,‘এসটিএফের কাছে খবর আসে মণিপুর থেকে গাঁজা নিয়ে আসা হচ্ছে,যে গাঁজা পূর্বস্থলীতে হরেকৃষ্ণ বালা ও তার ছেলে শুভঙ্কর বালার নেওয়ার কথা। এসটিএফ গোপনে সেখানে অপেক্ষা করতে থাকে এরপরই মণিপুর থেকে একটি ট্রাক সেখানে আসে এবং ট্রাকটিকে আটক করে তাদের দেখানো জায়গা জায়গা থেকে ড্রাইভার কেবিনের পিছনে অতিরিক্ত একটি কুঠুরী থেকে ৫৬ টি প্যাকেটবন্দি গাঁজা উদ্ধার হয়। মণিপুরের সুরজিৎ বলে এক ব্যক্তির কাছ থেকে এগুলি আনা হত বলে এসটিএফ জানতে পারে। গ্যাংটি ওড়িশা,মণিপুর থেকে গাঁজা এনে এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তা পাচার করত। হরেকৃষ্ণ ও তার ছেলে শুভঙ্কর মণিপুর থেকে গাঁজা আনার বরাত দেয়। হোয়াটস অ্যাপে ট্রাকের চালকের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের বিষয়টি আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।হরেকৃষ্ণ শিকার করেছে যে ২০০৯ থেকে বিভিন্ন গাঁজার কেসে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।’ যদিও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী গুরুদাস ব্যানার্জী উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।

  • Link to this news (এই সময়)