কাটমানি না পেয়ে জলের পাইপে সিমেন্ট, গুরুতর অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে
আজ তক | ১১ এপ্রিল ২০২৫
'কাজ করতে হলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে', রীতিমতো কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী ঠিকাদারের দাবি, কাজ জারি রাখতে ৫০ হাজার টাকা কাটমানি চাওয়া হচ্ছে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় জল প্রকল্পের পাইপে কংক্রিটের ঢালাই করে বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
কাটমানি না দেওয়ায় 'সজল ধারা' প্রকল্পের পাইপ ঢালাই করে দেয়ার অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। তবে গোটা ঘটনা অস্বীকার করেন পঞ্চায়েত প্রধান। নদিয়ার হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দত্তপাড়া এলাকার ঘটনা। ঠিকাদার দেবপ্রকাশ বিশ্বাসের অভিযোগ, তিনি সজল ধারা প্রকল্পের টেন্ডার নিয়ে ছিলেন। গ্রামের রাস্তা খুঁড়ে পাইপ বসানোর কাজ। এই প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ চলার সময় বেশ কিছু টাকা তাঁকে দিতে হয়। কিন্তু হঠাৎ তাঁকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয় এবং আরও টাকার দাবি করেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। তিনি সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় পরবর্তীতে আরও বিভিন্নভাবে তাকে হুমকির মুখে পড়তে হয়। এদিন সজল ধারা প্রকল্পের সাইটে এসে দেখেন, তাঁর বসানো পাইপের মুখ সিমেন্ট বালি দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ঠিকাদারের অভিযোগ, প্রায় ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয় তাঁর কাছ থেকে। এই ঘটনা তিনি পঞ্চায়েত প্রধানকে জানান। বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন প্রধান। পরবর্তীতে বিডিও অফিসে অভিযোগ করেন ঠিকাদার দেবপ্রকাশ বিশ্বাস। তাঁর দাবি,প্রকল্পের কাজের শুরু থেকেই ইঞ্জিনিয়ারকে দেখিয়ে তিনি কাজ করছিলেন। কিন্তু হঠাৎই কাজ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য হুমকি আসতে শুরু করে বলে অভিযোগ। বিভিন্নভাবে তাঁর কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও অন্যান্য জায়গায় যে সজল ধরা প্রকল্পের কাজ চলছে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় প্রধানের স্বামী, এমনই অভিযোগ। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি বিচার চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন প্রশাসনের।
যদিও এই ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন পঞ্চায়েত প্রধান মমতা বিশ্বাস। তাঁর দাবি ওই ঠিকাদার কোন অভিযোগই করেননি, তিনি যেটা অভিযোগ করছেন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ঘটনায় মাঠে নেমেছে বিজেপিও। এই গোটা ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে ব্য়বস্থা নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন বিডিও। সব মিলিয়ে এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাপা অশান্তি রয়েছে।