বাস থেকে গেরুয়া ধ্বজা খোলা, VIRAL ঘটনা হাতিয়ার করে শুভেন্দুর হিন্দু-প্রেম
আজ তক | ১১ এপ্রিল ২০২৫
কলকাতায় বাস থেকে গেরুয়া পতাকা খুলে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, যে গেরুয়া পতাকা সাহস, ত্যাগ এবং বীরত্বের প্রতীক, সেটিকে জোর করে একটি বাস থেকে খুলে ফেলেছে উগ্রপন্থীরা। এনিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিলতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে একটি হিন্দু সংগঠন। শ্রী রাম স্বাভিমান পরিষদ ট্রাস্টের তরফে তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে জামাত উল উলেমা হিন্দ। মিছিলের কারণে কলকাতার কয়েকটি রাস্তা প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায়। যানজটে আটকে পড়ে বহু গাড়ি। এর মধ্য়েই অভিযোগ ওঠে কলকাতার লেনিন সরণিতে একটি বাসে লাগানো গেরুয়া পতাকা জোর করে খুলে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ছবি পোস্ট করে এনিয়ে সরব হন।
এই ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,'স্বামী বিবেকানন্দের জন্মস্থান কলকাতায় মর্মান্তিক দৃশ্য! সাহস, ত্যাগ এবং বীরত্বের প্রতীক একটি গেরুয়া পতাকাকে বাস থেকে জোর করে খুলেয়েছে উগ্রপন্থীদের একটি দল। স্বামীজি কি এই সম্প্রীতি এবং সহনশীলতার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরদারিতে এই ধরনের কর্মকাণ্ড হয়, যখন পুলিশ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে। আমাদের সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা কোথায়? মমতা, আপনার শাসনামলে হিন্দু হওয়া কখন অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে? নাকি এখন আপনার একমাত্র নীতি হল তোষণ?'
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন,'ওটা বিজেপির পতাকা ছিল না। এটি ছিল একটি জয় শ্রী রাম পতাকা। এটা বিশ্বাসের অপমান। হিন্দুদের অপমান করা হয়েছে। কলকাতায় গেরুয়া পতাকা খোলা হয়েছে? বাস চালককে পুলিশের সামনেই পতাকা খুলে ফেলতে বাধ্য করা হয়েছে। এটা লজ্জার বিষয়। হিন্দু সংগঠনগুলি গতকালই একটি এফআইআর দায়ের করেছে। আজ আমরা ডিসি সেন্ট্রালে প্রতিবাদ করব। আগামীকাল হনুমান জয়ন্তী। পুরো রাজ্যে প্রতিবাদ হবে।'
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এখানে আপনি হামাস, প্যালেস্তাইন, পাকিস্তান, সিরিয়া এবং আইসিস-র পতাকা উড়তে দেখতে পাবেন, কিন্তু গাড়ি থেকে রাম নবমীর পতাকা সরিয়ে ফেলা হয়। কলকাতা কি ঢাকা, সিরিয়া নাকি আফগানিস্তান হয়ে গিয়েছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এটাই চান?'