• প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা, শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
    বর্তমান | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ভাঙড়: রাজ্য রাজনীতির এক বর্ণময় চরিত্র। বরাবরই ছিলেন ঠোঁটকাটা। যে দলেই থাকুন না কেন, নিজের মত প্রকাশ করতে দ্বিধা বোধ করতেন না। সে দলের বিরুদ্ধে হোক বা নেতৃত্বের। সব বিষয়ে মুখ খুলতেন তিনি। নিজেকে ‘চাষার ব্যাটা’ বলে পরিচয়ও দিতেন। সেই দাপুটে নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা প্রয়াত। আজ, শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বাঁকড়ি গ্রামে নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তাঁর ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর পর যেন তাঁর মরদেহ পৈতৃক ভিটেতেই কবর দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, রেজ্জাকবাবুর ইচ্ছামতোই পৈতৃক ভিটেতেই তাঁর দেহ সমাধিস্থ করা হবে। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। বাঁকড়ি গ্রামের নিজের বাড়িতেই থাকতেন। রাজনৈতিক মিছিল বা জনসভায় দেখা যেত না তাঁকে।বাম আমল কিংবা তৃণমূল সরকারের সময়ে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে ভাঙড় বিধানসভা থেকে সিপিএমের টিকিটে জিতে প্রথম বার বিধায়ক হয়েছিলেন রেজ্জাক মোল্লা। প্রথমবার মন্ত্রী হন ১৯৮২ সালে। ভূমি সংস্কার দপ্তরের সামলেছেন। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। ভাঙড় থেকেই ভোটে দাঁড়ান ঘাসফুলের টিকিটে। জয়ীও হন। তারপরেই তাঁকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের মন্ত্রীও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ২০২১ সালে আর ভোটে দাঁড়াতে দেখা যায়নি রেজ্জাক মোল্লাকে। অসুস্থতার কারণেই রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন তিনি।আজ, শুক্রবার তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। এক্সে(টুইটার) শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘আমার সহকর্মী, আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা’র প্রয়াণে আমি শোকাহত ও মর্মাহত। তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী ছিলেন। তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করতাম, সম্মান করতাম। বাংলার গ্রামজীবন, কৃষি-অর্থনীতি ও ভূমি-সংস্কারের মতো বিষয়ে তাঁর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ছিল সুবিদিত। তাই একসময় অন্য ধারার রাজনীতি করলেও, মা-মাটি-মানুষের সরকারে তাঁর মিলিত হয়ে যাওয়া ছিল সহজ ও স্বাভাবিক। তাঁর প্রয়াণে বাংলার রাজনৈতিক জীবনে অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি তাঁর পরিবারবর্গ, অসংখ্য অনুগামী ও শুভানুধ্যায়ীকে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই।’
  • Link to this news (বর্তমান)