ইসরোর ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রামে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের পড়ুয়া। দশম শ্রেণির ছাত্র নিরভ্র বসাক সর্বভারতীয় স্তরের একটি পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে। নিরভ্রর কথায়, ‘এক গৃহশিক্ষকের থেকে পরীক্ষার বিষয়টি জানতে পারি। এজন্য বেশ কয়েক বছর ধরে বিশেষ প্রস্তুতিও নিয়েছি। অবশেষে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ইসোরোতে গবেষণার জন্য সুযোগ পেয়েছি। আমার কাছে এটা সত্যিই খুব আনন্দের বিষয়।’
প্রতি বছরই ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রাম আয়োজন করে ইসরো। কীভাবে রকেট উৎক্ষেপণ হয়, কীভাবে মহাকাশযান তৈরি করা হয়, কীভাবে মহাকাশ গবেষণা চলে, তা হাতেকলমে শেখানো হয় পড়ুয়াদের। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে পরীক্ষার আবেদন করেন সারা ভারতের পড়ুয়ারা। যারা এই প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, তাদের মধ্যে নিরভ্রও রয়েছে। গত বছর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরামের অর্পিতা সাহা এই সুযোগ পেয়েছিল।
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে ১৩ দিন ধরে পঠনপাঠন ও নানা গবেষণামূলক প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকবে নির্বাচিত পড়ুয়াদের। এতদিন থাকা খাওয়া যাতায়াত সহ সমস্ত কিছুরই ব্যয়ভার গ্রহণ করবে ইসরো। নিরভ্রর বাবা নেপাল বসাক পেশায় শিক্ষক। মা মৌসুমি চৌধুরীও স্কুল শিক্ষিকা। ১৬ মে বালুরঘাট থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন নিরভ্র ও তার পরিবার।
ছোট থেকেই মহাকাশ নিয়ে নিরভ্রর প্রবল আগ্রহ। তার বাবা নেপাল বসাক বলেন, ‘বরাবরই ছেলের মহাকাশ বিজ্ঞান ও গবেষণা নিয়ে আগ্রহ ছিল। সেই সুযোগ এবার এসেছে। এর ফলে আগামীতে ওর অনেক সুবিধা হবে। নিরভ্র’র স্কুলের প্রিন্সিপাল এসপি সিনহা বলেন, ‘নিরভ্রকে দেখে স্কুলের তথা অন্য পড়ুয়ারাও উৎসাহিত হবে। তার এই সাফল্যে আমরা সকলেই খুশি। আশা করি এই প্রশিক্ষণ আগামীতে ওর কেরিয়ার গঠনে সহায়ক হবে।’