• রাজ্যপালকে সংবিধানের পাঠ পড়ালেন মন্ত্রী শোভনদেব
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে সংবিধানের পাঠ পড়ালেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের কোনও দপ্তরের আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো বা তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করার অধিকার রাজ্যপালকে দেয়নি সংবিধান। বুধবার রাজভবনে আটকে থাকা বিল নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের জবাব দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই জবাবের পর রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব পাল্টা সিভি আনন্দ বোসের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

    গত মঙ্গলবার বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চে প্রশ্নের মুখে পড়েন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি। এই মামলার পর্যবেক্ষণে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল রাজ্যপালদের ঝুলিয়ে রাখা বৈধ নয়। সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণের পরেই রাজ্যের স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘এই নিয়ে আমাদের রাজ্যপালকে একাধিকবার বলা হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলের মধ্যে ২৩টি বিলে সম্মতি দেননি রাজ্যপাল। এ গুলির মধ্যে অপরাজিতা বিল, গণপিটুনি বিল সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল রয়েছে।’

    স্পিকারের বক্তব্য সামনে আসার পর বুধবার রাজভবনের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেই বিবৃতিতে রাজভবনের তরফে জানানো হয়, কেন বিলগুলি আটকে রয়েছে। রাজ্যপাল জানান, ২০২৪ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ১১টি বিল রাষ্ট্রপতির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। এই বিলগুলির মধ্যে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত এবং একটি অপরাজিতা বিল। কয়েকটি বিলে সম্মতি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কাছে বেশ কিছু তথ্য তলব করেছে রাজভবন। কিন্তু কোনও উপযুক্ত জবাব বা তথ্য রাজ্যের তরফে দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি ২৩টির মধ্যে ৫টি বিলের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল সরাসরি সচিবের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন।

    এরপরই রাজ্যপালের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, সংবিধানে লেখা রয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য কোনও বিল আটকে রেখে দেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যপালের নেই। বিল সংক্রান্ত আইনগত বিষয় থাকলে রাজ্যপাল চিঠি লিখে সরকারকে জানাবেন এটাই কাম্য। সংবিধানে লেখা নেই, রাজ্যপাল ডেকে পাঠাতে বা আলোচনা করতে পারবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজ্যপালের বক্তব্য তিনি সরকারকে জানাতে পারেন মাত্র, কিন্তু বিল পাশ করে দিতে তিনি বাধ্য থাকবেন। একান্ত না হলে তিনি বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে পারেন। রাজ্যপাল একাধিক বিল আটকে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)