অর্ণব আইচ: কসবা ডিআই অফিস অভিযানে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর দায়ের হয়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৮টি ধারায় চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। এই ৮টি ধারার মধ্যে ৩টি আবার জামিন অযোগ্য। দুটি মামলার মধ্যে একটি পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর। আরেকটি কসবার ডিআইয়ের তরফে এফআইআর করা হয়েছে। এই মামলাটির তদন্তে এসআই সঞ্জয় সিং। পুলিশ সূত্রে খবর, কসবা কাণ্ডের দিন ডিউটি অফিসার ছিলেন রিটন দাস। তাঁর বিরুদ্ধে এক চাকরিহারাকে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে। এফআইআরে সই রয়েছে সেই রিটন দাসের।
গত ৩ এপ্রিল, সুপ্রিম কোর্টের এক কলমের আঁচড়ে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। বাংলাজুড়ে চাকরিহারাদের হাহাকার। এই আবহে গত ৭ এপ্রিল নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের সমাবেশে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সকলের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। চাকরিহারাদের নির্দ্বিধায় স্কুলে গিয়ে ‘স্বেচ্ছাশ্রম’ দেওয়ার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতার আশ্বাসের পরেও গত বুধবার কসবায় ডিআই অফিস অভিযান করেন চাকরিহারারা। ওই আন্দোলনের একাধিক ছবি, ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
অনেকের দাবি, ওই ছবি, ভিডিওতে দেখা গিয়েছে পুলিশের ‘রণংদেহী’ রূপ। চাকরিহারাদের দাবি, তাঁদের লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। লাথি, ঘুসিও মারা হয় তাঁদের। চাকরিহারাদের আরও দাবি, যে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে তাঁদের লাথি মারতে দেখা গিয়েছে তিনি রিটন দাস। ওই রিটন দাসই সেদিনের ডিউটি অফিসার। রিটন দাসেরই সই রয়েছে এফআইআরে। তবে ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এসআই সঞ্জয় সিংকে।