• স্লোগানে, অনশনে অনেক মিল আরজিকর আর চাকরিহারার আন্দোলন! ব্রাত্যর মিটিংয়ের আগেই জট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ আন্দোলন দেখেছে বাংলা। দিনের পর দিন রাজপথে উঠেছিল স্লোগান, উই ওয়ান্ট জাস্টিস। বহু মানুষ শামিল হয়েছিলেন সেই আন্দোলনে। আরজিকরের সেই আন্দোলনের একেবারে পুরোভাগে ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দীর্ঘ অনশনে বসেছিলেন তাঁরা। একাধিকবার তাঁরা মিটিং করেছিলেন রাজ্য় সরকারের সঙ্গে। বার বার তৈরি হয়েছিল জট। কখনও আন্দোলনকারীরা বলেছিলেন মিটিংয়ের লাইভ স্ট্রিমিং করতে হবে। কখনও বলা হয়েছিল নির্দিষ্ট সংখ্য়ক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে। সেই আরজিকর আন্দোলনের অঙ্গ হিসাবে রাত দখল কর্মসূচিও হয়েছিল।

    তবে এবার চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলন। সেই চাকরিহারাদের আন্দোলনেও উঠছে স্লোগান, উই ওয়ান্ট জাস্টিস। সেই চাকরিহারা প্রতিনিধিরাও অনশনে বসেছেন। সেই চাকরিহারা শিক্ষকরাও ঠিক আরজিকর আন্দোলনের ঢঙেই তাঁদের দাবিতে অনড়। এমনকী ওপেন মিটিংয়ের কথাও বলেন তাঁরা। এমনকী শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তবে সেই বৈঠকের আগেই তৈরি হয় জট।

    চাকরিহারা প্রতিনিধিরা দাবি করে ১২জন প্রতিনিধিকে মিটিংয়ে বসতে দিতে হবে। তবে বিকাশভবনের তরফে প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল ৮জন প্রতিনিধিকে অনুমতি দেওয়া হবে। তবে চাকরিহারা প্রতিনিধিরা সাফ জানিয়ে দেন ১২জন প্রতিনিধিকে অনুমতি দিতে হবে। এভাবে ৮জনকে নিয়ে মিটিং হতে পারে না। বাকি চারজনও আমাদেরই প্রতিনিধি। তাঁদের অনুমতি দিলে আপত্তি কোথায়? তাঁদেরও একটা বক্তব্য আছে। এনিয়ে মিটিং শুরুর আগে কিছুটা জট বাঁধে। দেখা যায় লিফটে একেবারে নাম ধরে তালিকা মেলানো হচ্ছে।

    তবে শেষ পর্যন্ত ১২জন চাকরিহারা বৈঠকে বসার অনুমতি পান বলে খবর। এরপর কিছুটা হলেও আস্বস্ত হন চাকরিহারা প্রতিনিধিরা।

    এদিকে এসএসসি ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন চিকিৎসকরা। সেখানে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তাঁরা। কিছু কি সমাধান সূত্র মিলবে? তা নিয়ে নানা চর্চা।

    এদিকে দেখা যায় আমি যোগ্য লেখা টি শার্ট পরে আন্দোলন স্থলে এসেছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। সেই সঙ্গেই আন্দোলন স্থলে স্লোগান ওঠে আমরা কারা যোগ্য যারা। উই ওয়ান্ট জাস্টিস।

    এদিকে আরজিকর আন্দোলনের সময় বার বার শোনা যেত এই উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান। এমনকী ইতিমধ্য়েই চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন আরজিকর আন্দোলনে নিয়োজিত চিকিৎসকরাও।

    একদিকে রিলে অনশন। আর অন্য়দিকে বৈঠক। দাঁতে দাঁত চেপে হার না মানা লড়াই। সব মিলিয়ে যেন বাস্তবিকই পথ দেখিয়েছে আরজিকর।

    তবে অন্যদিকে আরজিকর আন্দোলন দেখে শিক্ষা নিয়েছে সরকারও। অত্যন্ত সতর্ক হয়ে পা ফেলছে সরকারও।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)