• লাগাতার সমালোচনার মুখে রিটন দাসকে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত থেকে সরাল লালবাজার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • ব্যাপক সমালোচনার মুখে কসবায় চাকরিহারাদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় দায়ের পালটা মামলার তদন্তভার থেকে SI রিটন দাসকে সরিয়ে দিল লালবাজার। তাঁর জায়গায় অন্য আধিকারিককে ওই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, তদন্তকারী আধিকারিক হিসাবে নয়, পুলিশের নিয়ম মেনে মামলা নথিভূক্তিকরণের আধিকারিক হিসাবে নাম ছিল রিটন দাসের।

    গত বুধবার কসবা DI অফিসে চাকরিহারাদের ওপর পুলিশি আক্রমণের ঘটনায় পালটা আক্রান্তদের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করেছে পুলিশ। DI এর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ও স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ২টি মামলা শুরু করেছেন তদন্ত করেছে কসবা থানা। তাতে আক্রান্ত চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে ৮ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তার মধ্যে ৩টি ধারা জামিন অযোগ্য। শুক্রবার জানা যায়, DIএর অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের মামলাটির তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে ওই দিন এক শিক্ষককে লাথি মারায় অভিযুক্ত কসবা থানার SI রিটন দাসকে। শুক্রবার সকালে এই খবর প্রকাশ্যে এলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে মন্তব্য করেন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার।

    কিন্তু বেলা বাড়তেই বদলে যায় ছবিটা। লালবাজার সূত্রে খবর পাওয়া যায়, ওই মামলার তদন্তভার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রিটন দাসকে। দাবি করা হয়, বুধবারের ঘটনা যখন ঘটেছিল তখন ডিউটি অফিসার ছিলেন রিটন দাস। ফলে পুলিশের নিয়ম মেনে তাঁকেই অভিযোগ নথিভুক্ত করতে হয়েছে। কিন্তু পরে অন্য আধিকারিককে ওই মামলার তদন্তভার হস্তান্তরিত করা হয়েছে।

    তবে এই তত্ত্ব মানতে নারাজ বিরোধীরা। তাদের দাবি, সমালোচনার মুখে রিটন দাসকে সরাতে বাধ্য হয়েছে সরকার।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)