• কসবার DI অফিস অভিযানে ‘বহিরাগত’, চোট পান লাথি মারায় অভিযুক্ত রিটনও, দাবি কলকাতা পুলিশের
    এই সময় | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • কসবার ডিআই অফিস অভিযানে চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে ছিল বহিরাগতরাও, শুক্রবার দাবি করল কলকাতা পুলিশ। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানান, এই কর্মসূচি শিক্ষকদের ছিল। আর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কেউই আশা করেননি সেখানে শিক্ষকরা পুলিশকে আক্রমণ করবেন।

    এ দিন লালবাজারে সাংবাদিক বৈঠক করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বার্মা এবং জয়েন্ট সিপি (অপরাধ দমন) রূপেশ কুমার। ঘটনার দিনের একগুচ্ছ ভিডিয়ো পুলিশের তরফে দেখানো হয়। রূপেশ কুমার জানান, ১২টা ১১ মিনিটে দেখা যায় সেখানে আন্দোলনরত শিক্ষকরা পৌঁছেছেন, ১২টা ১৮ মিনিটে প্রথম ব্যারিকেড ভাঙতে দেখা যায়। ১২টা ২৮ মিনিটে ‘এই তালাটাও ভেঙে দাও’ বলে মন্তব্য করতে শোনা যায় এক বিক্ষোভকারীকে। ১২টা ৩০ মিনিটে নিগ্রহের শিকার হয় পুলিশ। তার আগে পুলিশ কোনও বল প্রয়োগ করেনি বলেও দাবি করেছেন তিনি।

    কসবার ডিআই অফিসে চাকরিহারা শিক্ষককে লাথি মারার ঘটনায় অভিযুক্ত কসবা থানার এসআই রিটন দাসকে নিয়ে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। এ দিন অবশ্য সিপি দাবি করেন, ‘কসবার ডিআই অফিসে গোলমালের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ১৩ জন কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সার্জেন্ট তন্ময় মণ্ডল সবথেকে বেশি জখম। যে অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখুন! রিটন দাসের বুকেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওঁর কানের উপরে চড় মারা হয়েছে, চশমা ভাঙা হয়েছে। ওঁর চোখের কোনও ক্ষতি হলে দায় কে নিত?’

    মনোজ ভার্মা আরও বলেন, ‘পুলিশকে কেউ আঘাত করলে পুলিশ কিছু বলবে না, এটা হতে পারে না। তবে আমি আজও বলছি ওই অ্যাকশন (লাথি মারা) প্রত্যাশিত ছিল না। এই ঘটনার অনুসন্ধান চলছে। পুলিশের ভুল হতে পারে, রিপিট যাতে না হয় তার জন্য আলোচনা করি আমরা।’

    অন্যদিকে, রিটন দাসকে তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে ‘বিতর্ক’-এর কোনও যোগ নেই, তাও স্পষ্ট করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, ‘কলকাতা পুলিশে ফাইল সিস্টেম বলে একটি পদ্ধতি চালু রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। যখন মামলাটি রেকর্ড হয় তখন কর্তব্যরত ছিলেন রিটন দাস। তাই সিস্টেম অনুযায়ী, তাঁর নাম তদন্তকারী অফিসার হিসেবে রেকর্ড করা হয়। পরে পরিস্থিতি বুঝে তা পরিবর্তন করা যেতে পারে এই ফাইল সিস্টেম অনুযায়ী। এ ক্ষেত্রেও তা হয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)