‘ফিজ়িক্যাল সায়েন্স কে পড়াবেন?’, অথৈ জলে বাঁকুড়া মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। বাঁকুড়া শহরের এই স্কুল অতীতে একাধিক সাফল্যের নজির গড়েছে। স্কুলটিতে পড়ুয়া সংখ্যাও এই মুহূর্তে প্রায় এক হাজার। রয়েছেন প্রধান শিক্ষক-সহ ২১ জন শিক্ষক। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাতারাতি স্কুলের পড়ুয়ারা হারিয়েছেন ‘শিশির স্যারকে’।
ফিজ়িক্যাল সায়েন্সের কঠিন অধ্যায় মনে রাখার, বোঝার ‘সহজ রাস্তা’ দেখাতেন শিশির কুমার গড়াই। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি হয়ে ওঠেন পড়ুয়াদের ‘ফেভারিট’। কিন্তু সুপ্রিম রায়ে তিনি এখন চাকরিহারা। মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও তিনি আর স্কুলে পা রাখেননি। কী ভাবে শেষ হবে সিলেবাস? দিশেহারা নবম-দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে প্রধান শিক্ষক সাধন চন্দ্র ঘোষ।
স্কুলে এই মুহূর্তে নবম এবং দশম শ্রেণির একমাত্র ফিজ়িক্যাল সায়েন্সের শিক্ষক শিশির কুমার গড়াই। স্কুলের এক ছাত্রী বলেন, ‘শিশিরবাবুর সঙ্গে সমস্ত পড়াশোনা সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা যেত। বোর্ডের আগে স্যার স্কুলে না এসে কী ভাবে সিলেবাস শেষ হবে?’ আশঙ্কার সুর একাধিক ছাত্র-ছাত্রীর কণ্ঠে। একাধিক পড়ুয়া শিশির স্যারকে ফিরিয়ে আনার আর্জি জানায়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাধন চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে আমাদের স্কুলের দু’জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। তবে এখনও পর্ষদ কারও চাকরি বাতিলের নোটিস জারি করেনি। আমরা শিশিরবাবুকে স্কুলে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি আসেননি। ফলে নবম-দশম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞানের ক্লাস কে নেবেন, সেই বিষয়ে চাপে রয়েছি।’ তবে স্কুলে না আসা বা চাকরি যাওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি শিশির কুমার গড়াই।