'আমাদের অফিসারকে ভয়ঙ্কর ভাবে মারা হয়েছে', কসবা ঘটনা নিয়ে কমিশনার মনোজ ভার্মা...
আজকাল | ১২ এপ্রিল ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত বুধবার ৯ এপ্রিল কলকাতা কসবা ডিআই অফিসে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ঘেরাও ও প্রতিবাদী মিছিল নিয়ে একাধিক বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। ঘটনায় আহত হয়েছে একাধিক পুলিশকর্মী এবং শিক্ষাকর্মী। কলকাতা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আধিকারিক সহ মোট ১৩ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট পদমর্যাদার আধিকারিক তন্ময় মণ্ডলের পা ভেঙে যায়। বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী ও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেদিনের ঘটনায় একদিকে যেমন পুলিশের বিরুদ্ধে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে, একই রকম ভাবে শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
কসবা-কাণ্ড নিয়ে ১১ এপ্রিল শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ ভার্মা। উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম কমিশনার রুপেশ কুমার ও সাউথ সাবারবান ডিভিশনের ডিসিপি বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত। কমিশনার বলেন, "কোনও ঘটনাই কাম্য নয়। আমাদের পুলিশ আধিকারিক-সহ মোট ১৩ জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। তিন দিন ধরে তাঁদের চিকিৎসা চলেছে। একজন আধিকারিক তন্ময় মণ্ডলের পা ভেঙে গিয়েছে। প্লাস্টার করা হয়েছে এবং বর্তমানে বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই বিষয়টাও কোনও ভাবেই কাম্য নয়। অনেক পুলিশ আধিকারিক বা কর্মীদের চড়-কিল-ঘুষি পর্যন্ত মারা হয়েছে। সেটাও কি কোনও ভাবে কাম্য বা হওয়া উচিত?"
আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া ও ব্যারিকেড ভেঙে শিক্ষাকর্মীদের ডিআই অফিসে ঢোকার ফুটেজ দেখিয়ে কমিশনার আরও বলেন, "যে ভাবে শিক্ষাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা ভেঙে ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢুকেছেন সেটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কোথাও তালা ভাঙ্গা হয়েছে, আবার কোথাও তালা ভেঙে দেওয়ার জন্য বলা পর্যন্ত হয়েছে। পেট্রোল নিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা পর্যন্ত বলা হয়েছে। এর পূর্ণমাত্রায় তদন্ত চলছে। কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তা অতি শীঘ্রই বেরিয়ে আসবে।"
তবে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার ভিডিও প্রসঙ্গে নগরপাল বলেন, "কোনও বহিরাগত শিক্ষাকর্মীদের কলুষিত করার জন্য এই পরিকল্পনা করেছিলেন কি না সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তার তদন্ত চলছে। তদন্তের পরেই পুরো বিষয়টি বলা যাবে। তবে আমাদের বহু আধিকারিক খুব বাজে ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মারধর করা হয়েছে। আমাদের পুলিশের উপর আক্রমণ হলে আমরাও তো হাত গুটিয়ে বসে থাকব না। আত্মরক্ষার সবারই অধিকার আছে।"