পথ দুর্ঘটনা, না খুন! বিশ্বভারতীর গবেষক ছাত্রের মৃত্যুতে ঘনাচ্ছে রহস্য
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১২ এপ্রিল ২০২৫
বিশ্বভারতীর গবেষক ছাত্রের রহস্যমৃত্যু। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলেও সেই মৃত্যু ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য। বিশ্বভারতীর রুরাল ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মৃত ছাত্রের নাম অদ্রিশ দে। বাড়ি বোলপুর সংলগ্ন সুপুরগ্রামে। পড়াশোনার পাশাপাশি পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অধীনে এক প্রকল্পে প্রজেক্ট ইনচার্জ হিসাবেও কর্মরত ছিলেন অদ্রিশ। নিছক দুর্ঘটনা, নাকি মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে রয়েছে, তদন্ত করছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, গত বুধবার সন্ধ্যায় রঘুনাথপুরে হাঁটতে বের হন সহকর্মীদের সঙ্গে। রাস্তায় একটি চারচাকা গাড়ি পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে অদ্রিশকে। তড়িঘড়ি রঘুনাথপুর হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুরুলিয়া রঘুনাথপুর হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার সাত সকালেই মৃত্যু হয় গবেষণারত ছাত্রের।
পরিবার সূত্রে খবর, কর্মক্ষেত্রে বেশ কয়েকদিন ধরেই নানা সমস্যা চলছিল। সংস্থার এই সমস্যা বা জটিলতার মাঝেই হঠাৎই আকস্মিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে জল্পনা। মৃত ছাত্রের কাকা কালীচরণ দে বলেন, ‘চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এমন কোনও হাড় নেই, যেটা ভাঙা পড়েনি। পরিকল্পনা মাফিক গাড়ির ধাক্কা মারা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রকল্পের সহকর্মীরা ভাইপোকে মেরে ফেলেছে। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিক।’
বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক জানান, ‘গবেষণারত গুণী পড়ুয়াদের মধ্যে একজন ছিলেন অদ্রিশ দে। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধা, শিক্ষা ভবনের হোস্টেল, পানীয় জল সংক্রান্ত সমস্যা নিয়েও সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও সোচ্চার হত। পড়ুয়াদের যে কোনও সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়ত।’
অদ্রিশের মৃত্যু নিয়ে রহস্য ঘনাচ্ছে। পরিবারের দাবি, তাঁকে প্ল্যান করে গাড়ির ধাক্কা মেরে খুন করা হয়েছে। ছেলের মৃত্যুতে শোকাহত পরিবার। খুন, না স্রেফ পথ দুর্ঘটনা, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।