• কসবায় মিছিল থেকে পুলিশকে নিশানা বহিরাগতদের! কী বলছেন চাকরিহারারা?
    প্রতিদিন | ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কসবা কাণ্ডে পুলিশের ‘বহিরাগত’ তত্ত্বের বিরোধিতা চাকরিহারাদের। ওই দিনের মিছিলে কোনও বহিরাগত ছিলেন না। শুধু তাঁরাই ছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁদের তরফে শিক্ষক মেহবুব মণ্ডল। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের বৈঠক চলাকালীন শুক্রবার সন্ধ্যায় লালবাজারে সাংবাদিক বৈঠক করেন কলকাতা পুলিশের সিপি মনোজ বর্মা ও জয়েন্ট সিপি (অপরাধ) রূপেশ কুমার। তখনই নগরপাল জানান, “প্রতিবাদীদের মধ্যে বহিরাগতরাও মিশেছিল। তাঁদের নিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”

    সুপ্রিম রায়ে এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর, বুধবার কসবায় ডিআই অফিস অভিযান কর্মসূচি নেয় চাকরিহারা ‘যোগ্য’রা। সেই ডেপুটেশন অভিযানে চাকরিহারা শিক্ষকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ, এক শিক্ষককে ‘লাথি’ ভিডিও ভাইরাল হতেই চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে কলকাতা পুলিশ। সেই দিনই পুলিশের তরফে বলা হয় শিক্ষকরা আক্রমণ করলে আত্মরক্ষাতে ও পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘হালকা বলপ্রয়োগ’ করেছে তারা। শুক্রবার পুলিশ জানায়, প্রতিবাদীদের মধ্যে বহিরাগতরাও মিশেছিল।

    কসবার ডিআই অফিসে হামলায় ৬ জন জখম। তাঁদের মধ্যে ১ জন হাসপাতালে। বলে জানিয়েছে। শুক্রবার এনিয়ে ফের লালবাজারে সাংবাদিক সম্মেলন করেন যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) রূপেশ কুমার ও কমিশনার মনোজ বর্মা। রূপেশ কুমার বলেন, “শিক্ষকদের অভিযান থেকে আগে অশান্তি করা হচ্ছিল। ওরা পুলিশের প্রথম, দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙে, পুলিশকেও আক্রমণ করে। আমাদের এক অফিসার আহত হন। এরপর পুলিশ আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগ করেছে। আপনারাও ভিডিও দেখেছন। ভালো করে দেখলে বোঝা যাবে, পুলিশ আগে কারও উপর কোনও মারধর করেনি। পুলিশকে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে।”

    ভাইরাল ভিডিওয় পুলিশ কর্মীর লাথি মারা বিষয়ে, সাংবাদিক বৈঠকে সিপির বক্তব্য, “শিক্ষকরা প্রতিবাদ করতে এসে পুলিশের উপর আক্রমণ করবেন, পুলিশকে মারবেন, তা কখনও কাম্য নয়। ভিডিওয় শোনা গিয়েছে, একজন বলছেন পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা। আগে আমাদের অফিসার আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে ভর্তি, নানা শারীরিক পরীক্ষা চলছে। কবে উঠে দাঁড়াতে পারবেন, জানা নেই। তাছাড়া সেদিনের বিক্ষোভে বহিরাগতরা ছিলেন। আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। তদন্ত চলছে। সব সত্য উঠে আসবে।” শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তা শুনে চাকরিহারা শিক্ষক মেহবুব মণ্ডল বলেন, “ওই দিনের কসবার মিছিলে কোনও বহিরাগত ছিলেন না। শুধু আমারই ছিলাম।” 
  • Link to this news (প্রতিদিন)