• ‘কে পাশে দাঁড়িয়েছে মনে রাখব’, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে ‘হুঁশিয়ারি’ চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের
    প্রতিদিন | ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • সুপ্রিম কোর্টের এক কলমের আঁচড়ে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। বারবার তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও ডিআই অফিস অভিযান, রিলে অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চাকরিহারারা। OMR মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবিতে শুক্রবার এসএসসি ভবন অভিযান কর্মসূচি এবং বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক। চাকরিহারাদের জোড়া কর্মসূচি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের জন্য নজর রাখুন লাইভ আপডেটে।  

    রাত ১০.২৫: এসএসসি-র সদর দপ্তর, আচার্য ভবনের সামনে যোগ্য চাকরি হারা শিক্ষকদের অনশন স্থলে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। সঙ্গে দলের যুব নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়।

    সন্ধ্যা ৭.৩২: এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য। পরপর ধেয়ে আসা প্রশ্নের উত্তরে শান্ত গলায় তিনি জানান, “শিক্ষকদের মৌলিক দাবির সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। আইনি প্রক্রিয়া যদি ইতিবাচক হয় তবে এসএসসি যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করবে। ২১ এপ্রিলের মধ্যে তা হতে পারে। ২২ লক্ষ মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবি করা হয়েছে। সিবিআইj কাছে সেগুলি আছে। প্রকাশ করতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের রায় রয়েছে। তাই আইনি সহযোগিতা ছাড়া কিছু করা যাবে না।”         

    সন্ধ্যা ৭.৩০: ‘কে পাশে দাঁড়িয়েছে মনে রাখব’। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে ‘হুঁশিয়ারি’ চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের। এদিন বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে প্রায় ৩ ঘণ্টার বৈঠক চলে চাকরিহারাদের।  ‘যোগ্য’ শিক্ষক মেহবুব মণ্ডল বলেন, “শাসক-বিরোধী সবাই সান্ত্বনা দিচ্ছে। আমরা সান্ত্বনা চাই না। রাহুল গান্ধী অন্য রাজ্যের লোক, তিনি আমাদের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখেছেন। আমাদের রাজ্যের নেতারা, মন্ত্রীরাও করতে পারেন। এই বিপদে কে পাশে দাঁড়িয়েছে আমরা মনে রাখব।”   

    সন্ধ্যা ৭.২০: চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মী সুজয় পোদ্দারের দাবি, যোগ্য-অযোগ্যের তালিকা প্রকাশের জন্য গোড়া থেকেই বলা হচ্ছিল। এসএসসি জানিয়েছে, আইনি পরামর্শ মেনে তা প্রকাশ করা হবে। তবে যতদিন না সুবিচার মিলবে, ততদিন রাস্তায়ই থাকবেন তাঁরা। এখনই আন্দোলনের পথ থেকে সরছেন না।

    সন্ধ্যা ৭.১৪: কসবা কাণ্ডে পুলিশের ‘বহিরাগত’ তত্ত্বের তীব্র বিরোধিতা চাকরিহারাদের। তাঁদের তরফে শিক্ষক মেহবুব মণ্ডল জানালেন, ওইদিনের বৈঠকে কোনও বহিরাগত নয়, তাঁরাই ছিলেন। পুলিশ তথ্য বিকৃত করছে বলে অভিযোগ তাঁদের।

    সন্ধ্যা ৭.০৯: বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা। জানালেন, যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা পৃথক করার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে এসএসসি। ২১ এপ্রিলের মধ্যে তা প্রকাশের সম্ভাবনা। আইনি পরামর্শ অনুযায়ী সেই কাজ হবে। তবে ২২ লক্ষ ওএমআরের মিরর ইমেজ নিয়ে জটিলতার কথা বললেন প্রতিনিধিরা। এসএসসির কাছে কোনও মিরর ইমেজ নেই, সিবিআইয়ের দেওয়া মিরর ইমেজ রয়েছে মাত্র। আইনি প্রক্রিয়া মেনে সেই তথ্য প্রকাশ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।       

    সন্ধ্যা ৭.০৪: চাকরিহারাদের দাবি মেনে ওএমআরের মিরর ইমেজ প্রকাশে রাজি এসএসসি। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর জানানো হল। তবে কবে, কীভাবে তা প্রকাশ করা হবে, তা এখনও স্থির হয়নি।

    সন্ধ্যা ৬.৫৫: বৈঠকে চাকরিহারাদের সব দাবি নিয়ে আলোচনা। শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস, আইনি পরামর্শ অনুযায়ী যা যা পদক্ষেপ করা যায়, সেটা করবেন। ওএমআরের মিরর ইমেজ প্রকাশ নিয়ে কী পদক্ষেপ, তা পরবর্তী সময়ে জানানো হবে বলে খবর।

    সন্ধ্যা ৬.৫০: আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষ। 

    সন্ধ্যা ৬: এসএসসি ভবনের বাইরে চাকরিহারাদের জমায়েতে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ, চাকরিহারাদের যৌথ মঞ্চের তরফে উঠল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। বিরোধিতার মুখে  পড়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ”দিক স্লোগান, রাত ১২টা পর্যন্ত এখানে থাকব।” বিজেপি সাংসদের আরও দাবি, রাজ্য সরকার চাইলে ২ ঘণ্টায় তালিকা দিতে পারে।

    বিকেল ৫.৪০: ব্রাত্য বসু চাকরিহারাদের উদ্দেশে বলেন, “অপেক্ষা করুন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। সুরাহার জন্য যা যা প্রয়োজন, আইনি পরামর্শ মেনে সব করা হবে।”
    বিকেল ৪.৩৯: এসএসসি ভবনের সামনে অনশন মঞ্চে অভয়া মঞ্চের প্রতিনিধিরা।বিকেল ৪.৩৬: যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন, OMR মিরর ইমেজ প্রকাশ, ব্রাত্যর কাছে দাবি চাকরিহারাদের।বিকেল ৪.২০: চাকরিহারাদের সমস্যার কথা শোনেন শিক্ষামন্ত্রী।
    বিকেল ৪.১৫: ‘চাকরি ফেরাতেই হবে’, বিকাশ ভবনের বাইরে স্লোগান চাকরিহারাদের।
    বিকেল ৪.১০: চাকরিহারাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পরিচয় পর্ব সারেন শিক্ষামন্ত্রী।
    বিকেল ৪: বিকাশ ভবনের ষষ্ঠতলার কনফারেন্স রুমে পৌঁছলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুরু বৈঠক। 

    দুপুর ৩.৪২: চাকরিহারাদের দাবি মানলেন শিক্ষামন্ত্রী। ১২ জনের সঙ্গেই হবে বৈঠক।
    দুপুর ৩.৩৭: বিকাশ ভবনের লিফট থেকে বেরিয়ে গেলেন চাকরিহারারা।
    দুপুর ৩.৩৫: “১২ জন না হলে বৈঠক নয়”, সাফ জানালেন চাকরিহারারা। 
    দুপুর ৩.৩২: বিকাশ ভবনের ষষ্ঠতলায় যাচ্ছেন চাকরিহারাদের ৮ প্রতিনিধি। 
    দুপুর ৩.১২: একে একে বিকাশ ভবনের ভিতরে ঢুকছেন চাকরিহারাদের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সূত্রের খবর, ১২ জন গেলেও বৈঠক হবে ৮ জনের সঙ্গে।

    দুপুর ৩: প্রতিনিধি দলে রয়েছেন হুমায়ুন ফিরোজ মণ্ডল, সঙ্গীতা সাহা, আবদুল্লা মণ্ডল, চিন্ময় মণ্ডল, সুজয় সর্দার, প্রলয় কুমার জামাদার, আজহারউদ্দীন, সেলিনা আখতার, স্বপন বিশ্বাস, মেহবুব মণ্ডল, ধীতিশ মণ্ডল, মৃণ্ময় মণ্ডল এবং তাপস সাঁতরা।দুপুর ২.৪০: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন চাকরিহারারা। বিকাশ ভবনের দিকে রওনা দিল ১২ জনের প্রতিনিধি দল। বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি চাকরিহারাদের। 
    দুপুর ২.৩০: বিকাশ ভবনে পৌঁছলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং এসএসসির চেয়ারম্যান।
    দুপুর ২.০২: রবীন্দ্রভারতীতে কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ।
    দুপুর ১.৫৫: ড্রোন উড়িয়ে চাকরিহারাদের মিছিলে নজরদারি পুলিশের।

    দুপুর ১.৩৯: চাকরিহারাদের মিছিলে অবরুদ্ধ সল্টলেকের উইপ্রো মোড়।
    দুপুর ১.২০: মিছিল থেকে উঠল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান। মিছিলকারীদের একটাই দাবি, চাকরি ফেরৎ চাই।

    দুপুর ১: “শিক্ষকদের ভয় পাচ্ছে রাজ্য সরকার”, এসএসসি ভবনের আঁটসাঁট নিরাপত্তা নিয়ে খোঁচা দিলীপ ঘোষের।
    বেলা ১২.৩৪: শুরু চাকরিহারাদের এসএসসি ভবন অভিযান। মিছিলকারীদের পরনে ‘আমরা যোগ্য’ টি-শার্ট।

    বেলা ১২.০২: কসবা কাণ্ডের তদন্তে SI সঞ্জয় সিং।

    সকাল ১০.৪০: চাকরিহারাদের ‘গান্ধীগিরি’। কসবায় লাঠিচার্জের পালটা পুলিশকে গোলাপ বিলি চাকরিহারাদের। তবে গোলাপ নিতে অস্বীকার করেন উর্দিধারীরা। 

    সকাল ১০.৩০: প্ররোচনায় পা দেবেন না। এসএসসি ভবনের সামনে প্রচার চাকরিহারাদের।সকাল ৯.৩৪: কসবায় পুলিশের লাথি বিতর্কে কলম ধরলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)