• প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি পশ্চিম মেদিনীপুরে, শূন্যপদ প্রায় ২৫০০
    এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ বা ডিপিএসসি-র তরফে জারি করা হল বিজ্ঞপ্তি। 

    সংসদ বা ডিপিএসসি-র প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান শিক্ষক পদে আবেদনের জন্য যোগ্যতার ন্যূনতম যে মাপকাঠি বেঁধে দেওয়া হয়েছে তা হলো- ২০০১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বা তার আগে নিযুক্ত শিক্ষকের মাধ্যমিক পাশ এবং ১ বছর বা ২ বছরের শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। 

     ২০০১ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ২০০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিযুক্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও যোগ্যতার মাপকাঠি একই। ২০০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে আজ পর্যন্ত নিযুক্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই যোগ্যতার মাপকাঠি হলো উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর বা  স্নাতক এবং দু’বছরের ডি.এল.এড বা পিটিটিআই প্রশিক্ষণ। এ ছাড়াও স্পেশাল ডি.এড, স্পেশাল বি.এড বা সাধারণ বি.এড করা থাকলে ৬ মাসের ব্রিজ কোর্স সম্পূর্ণ থাকতে হবে।

    আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে যোগ্য এবং ইচ্ছুক শিক্ষক-শিক্ষিকারা আবেদন জানাতে পারবেন। সংসদের দেওয়া নির্দিষ্ট বয়ান বা ফর্মাটে  আবেদন জানাতে হবে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বা এসআই-এর কার্যালয়ে। 

    অন্য কোনও জায়গায় আবেদন জানালে তা গৃহীত হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সংসদ। নিয়োগে সিনিয়রিটি বা অভিজ্ঞতাকেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে শুক্রবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর ডিপিএসসি-র চেয়ারম্যান অনিমেষ দে। কোনও ইন্টারভিউ হবে না। সেলফ অ্যাসেসমেন্ট বা স্ব-মূল্যায়নে ৩০ নম্বর থাকবে। এই নিয়োগ হবে সার্কেল বা চক্র অনুযায়ী অর্থাৎ শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের সার্কেলেই প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকা হতে পারবেন। জেলায় মোট শূন্যপদ প্রায় আড়াই হাজার বলেও সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    অনিমেষ দে ‘এই সময় অনলাইন’-কে বলেন, ‘স্বচ্ছতার সঙ্গে  দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আমাদের লক্ষ্য।’ শাসকদলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা (মেদিনীপুর) সভাপতি অখিলবন্ধু মহাপাত্র বলেন, ‘২০০৮ সালের পর এই প্রথম জেলায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে। ফলে খুশির হওয়া শিক্ষক মহলে। এর ফলে স্কুলগুলি আরও  সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে বলেই আমরা আশাবাদী।’ বাম শিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএ-র জেলা সম্পাদক সন্দীপ ঘোষ বলেন, ‘আশা করছি যোগ্যতার মাপকাঠিতেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’

    (তথ্য সহায়তা: মণিরাজ ঘোষ)

  • Link to this news (এই সময়)