বোমাবাজির পাল্টা লাঠিচার্জ, ফের অগ্নিগর্ভ সুতি! ওয়াকফ আইন বিরোধী মিছিলে আবার উত্তেজনা
আনন্দবাজার | ১১ এপ্রিল ২০২৫
আবার রণক্ষেত্রের আকার নিল মুর্শিদাবাদের সুতি থানার সাজুর মোড় এলাকা। ওয়াকফ (সংশোধিত) আইনের বিরোধিতায় সংখ্যালঘুদের মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ উঠল। পরে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা বিনা প্ররোচনায় পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো এবং স্টান গ্রেনেড ব্যবহারের অভিযোগ করছেন আন্দোলনকারীরা।
ওয়াকফ (সংশোধিত) আইনের বিরোধিতায় গত কয়েক দিন ধরে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত। জঙ্গিপুর, সুতির মতো এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার সুতি এবং শমসেরগঞ্জ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ একাধিক মিছিলে পা মেলান। মিছিলে যোগদানকারীরা যখন সাজুর মোড় এলাকার কাছাকাছি ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন, তখন পুলিশের তরফে বাধা আসে। অভিযোগ, সেই সময় বিক্ষোভকারীদের কয়েক জন বোমা ছোড়েন। সেই সঙ্গে পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট-পাথরও। তাতে বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হন। জখম হন পথচলতি সাধারণ মানুষও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানান, আরও বাহিনী পাঠানো হয়েছে ওই এলাকায়। তবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলেই খবর। এখন প্রশাসনের তরফ থেকে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েক জন জানাচ্ছেন, অশান্তির সূত্রপাত হয় সুতির সাজুর মোড় এলাকায়। সেখানে একাধিক মিছিল এসে জড়ো হচ্ছিল। আটকে দেওয়া হয় রাস্তা। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটাতে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়। মিছিলে যোগদানকারী কয়েক জন যুবক ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। পুলিশ বাধা দেয়। তখন পুলিশের উপর ইট-পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
শুক্রবার রাতে সমাজমাধ্যম পোস্টে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিপুরের সুতি এবং শমসেরগঞ্জ পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। পুলিশি তৎপরতার উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা গিয়েছে। জাতীয় সড়কে যান চলাচল এখন স্বাভাবিক। সেই সঙ্গে রাজ্য পুলিশ বলেছে,যাঁরা হিংসা এবং গন্ডগোলে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গন্ডগোল পাকাচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছেন যাঁরা, তাঁদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।