'কচি খোকা, তৃণমূলের ছেলে!' ‘পেট্রল নিয়ে আয়’ বলা স্যার কি সিপিএম? শুরু তরজা
হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ এপ্রিল ২০২৫
কসবায় ডিআই অফিসে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। আর সেই সময় তাদের উপর পুলিশ লাঠি চালিয়েছিল বলে দাবি করছেন চাকরিহারারা। তবে পুলিশের দাবি মৃদু বলপ্রয়োগ। আর তারপরই পুলিশ একাধিক ভিডিয়ো সামনে আনে। যেখানে দেখা যায় একজন বলছেন পেট্রল নিয়ে আয় জ্বালিয়ে দেব।
পরে জানা যায় তিনি হলেন চাকরিহারা শিক্ষক। ওই শিক্ষকের নাম প্রতাপ রায়চৌধুরী। তিনি সোনারপুর একটি স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক।
এবার তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে নানা জনের নানা মত। বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারির সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এটাতো বুমেরাং হয়ে গেল কচি খোকা, তৃণমূলের ছেলে তো।। প্রিজাইডিং অফিসার থেকে তৃণমূলকে ভোট লুটে সাহায্য করেছিল পর্যন্ত।। অবশ্যই এটা তৃণমূলের পুরনো চাল।। যতক্ষণ কাজ হবে ব্যবহার করবে এবং কাজ ফুরালেই ভাদু শেখ।’
আবার তৃণমূলের একাংশের মতে, ওই শিক্ষক আসলে সিপিএমের সমর্থক। সব মিলিয়ে ধন্ধ একেবারে চূড়ান্ত। আবার অন্য়দিকে সেই শিক্ষক জয় বাংলার ভক্ত বলেও অনেকে দাবি করছেন।
তবে সেই শিক্ষক অবশ্য় আগেই বলেছেন নিজেদের জ্বালিয়ে দিতে বলেছি পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দেব ।আমাদের তো আর কোনও রাস্তা নেই। তিনি বলেন, আমি কবে নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছি জানিনা। তবে সরকারি অফিসার হিসাবে ভোটের ডিউটিতে গিয়েছি। আর জয় বাংলা আগেও বলেছি। আগামী দিনেও বলব।
সব মিলিয়ে ধন্ধ চরমে।
তবে ওই শিক্ষক অবশ্য় জানিয়েছেন, আমাদের লোন চলছে। আমার বাচ্চার মুখের দিকে আমি তাকাতে পারছি না। যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছি। আমাদের চাকরি কেন কেড়ে নেবে? পেট্রল দিয়ে নিজেকে জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলাম। যদি সেই পরিস্থিতি আসে তাই করতে বাধ্য় হব। আমরা চাই স্কুলে সসম্মানে পড়াতে। লোকে আমাদের ছি ছি করছে।
তবে কলকাতা পুলিশের তরফে একেবারে সময় ধরে ভিডিয়ো দেখিয়ে দাবি করা হয়, শিক্ষকরা পরপর দুটি ব্যারিকেড ভেঙেছিলেন। গেট ধরে ওঠার চেষ্টা করেন। মহিলা পুলিশকর্মীর হাতের উপর পা দিয়ে ওঠা হয়। এমনকী তালা ভেঙে দাও, পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দাও। এমন কথাও বলা হয়। পুলিশের উপর নিগ্রহ করা হয়। এরপর পুলিশ আত্মরক্ষার্থে মৃদু বলপ্রয়োগ করে।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, এটা ছিল শিক্ষকদের কর্মসূচি। কেউ প্রত্য়াশা করেনি যে শিক্ষকরা ওখানে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটাবেন। তালা লাগানোর কথা ছিল। কিন্তু তালা লাগানো হয়নি। তালা ভাঙা আর তালা লাগানো দুটি বিষয়ের মধ্য়ে পার্থক্য রয়েছে। ভিডিয়ো দেখে বোঝা যাচ্ছে ১০-১৫জন পুলিশকর্মী ছিলেন। পরে আরও ফোর্স ছিল। টিচাররা পুলিশকে মারবে এটা প্রত্যাশার মধ্য়ে ছিল না। আমাদের পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। ১৪দিন বেডরেস্টে থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত যে অফিসারের কথা বলা হচ্ছে তার চশমা ভাঙা হয়েছে, তার বুকে আঘাত লেগেছে, তার কানে আঘাত লেগেছে। পুলিশ কমিশনার জানিয়ে দেন, শিক্ষকরা ওখানে গিয়ে এসব করবেন এটা প্রত্য়াশিত ছিল না।