‘প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারলে…’ চাকরিহারাদের সঙ্গে মিটিং শেষ, কী বললেন ব্রাত্য?
হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ এপ্রিল ২০২৫
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে চাকরিহারা শিক্ষকদের মিটিং শেষ। প্রায় আড়াইঘণ্টা ধরে এই মিটিং চলে। মিটিং শেষে সাংবাদিকদের সামনে কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু?
তিনি বলেন, যোগ্য ও অযোগ্যর তালিকা আমাদের কাছে আছে। এসএসসি তিনবার হলফনামা দিয়ে আদালতে জানিয়েছে। সেই তালিকা ওয়েবসাইটে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের আপত্তি নেই। কোনও অসুবিধা নেই। আমি এসএসসিকে জিজ্ঞাসা করেছি। এসএসসিরও কোনও অসুবিধা নেই। যোগ্য অযোগ্য়র যে তালিকা আছে সেটা তারা তুলে দিতে পারেন। সেখানে সমস্যা নেই।
তবে সবটাই হবে আইনি পরামর্শ নিয়ে এমন ইঙ্গিতও মিলেছে মিটিংয়ে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সপ্তাহ দেড়েক দুয়েকের মধ্যে এটা করা যাবে, আইনি পরামর্শ যা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিরোধীদের তৈরি করা ন্যারেটিভে পা দেবেন না। মিরর ইমেজ নিয়ে আইনি পরামর্শ নেব। সেটা সম্ভব হলে তুলে দিতে অসুবিধা নেই।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আমাদের পরিস্কারভাবে তাঁরা জানিয়েছেন যে অনশন করছেন না। একটা ছোট অংশ তাদের মনে হয়েছে রাজনৈতিকভাবে দলীয়ভাবে যুক্ত তাদের মনে হয়েছে এই অনশন, ধর্না করতে হবে। তাদের উপরেও কোনও রাগ নেই। …অনশন কর্মসূচি একটি লিমিটেড অংশ করছেন।
অযোগ্যদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন?
মন্ত্রী বলেন, আমরা রিভিউ পিটিশন করছি। আমরা ব্যাখা চাইছি।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে গো ব্যাক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কে চাকরি প্যানেল বাতিল করেছিলেন? আমি ওনাদের অভিনন্দন জানাব যে তাঁরা বুঝতে পেরেছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁদের সঙ্গে আছেন এটা তাঁরা বুঝতে পেরেছেন।
সেই সঙ্গেই মন্ত্রী বলেন, যে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছি সেটা যদি রাখতে না পারি তবে সত্যি তাঁদের আন্দোলনে থাকা উচিত। তবে তাঁদের আবেদন করব যে দাবিগুলি আপনারা রেখেছেন সেটা আইনি পরামর্শ নিয়ে আমরা রাখার চেষ্টা করব। সেই সময়সীমাটা একটু দেখে নিন। অন্তত ২১ তারিখ পর্যন্ত সেটা অন্তত দেখে নিন। আবেদন মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। তিনি বলেন রিভিউ পিটিশনে আমরা যাবই। আপনারা স্কুলে যান। স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করবেন না।
এদিকে আন্দোলনকারী এক শিক্ষক বলেন, আমাদের দুটো পার্টে আলোচনা হয়েছে। ‘আমরা যোগ্য ও অযোগ্য়দের তালিকা প্রকাশ করার কথা বলেছি। তারা বলেছেন পরের রবিবারের মধ্যে যোগ্য ও অযোগ্য তালিকা তৈরি করবেন। সোমবার সেটা পাবলিশ করবে বলে জানিয়েছেন। তবে সেটা আইনি পরামর্শের মাধ্যমে পাবলিশ করবেন। ২২ লাখ ওএমআর পাবলিশ করার কথা বলেছি। তারা বলেছেন আইনি পরামর্শ নেবেন। সমস্যা না থাকলে সেটা পাবলিশ করবেন।’