ফাইলেরিয়ার রুখতে ওষুধ খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার। হাওড়ার নিবড়ার একটি স্কুলে জোর করে ফাইলেরিয়ার ওষুধ খাওয়ানোর অভিযোগ। অভিভাবকদের একাংশের দাবি, তাঁরা অনুমতি না দেওয়া সত্ত্বেও পড়ুয়াদের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। আবার অনেকের অভিযোগ, ওষুধ খেয়ে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
মাস কয়েক আগে হাওড়ায় ফের ফাইলেরিয়া আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরা সকলেই ছিল স্কুল ছাত্র। এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। ঠিক করা হয় ফাইলেরিয়া প্রতিরোধের ওষুধ খাওয়ানো হবে সবাইকে। সেই কর্মসূচি অনুযায়ী হাওড়ার নিবড়া কনভেন্ট জুনিয়র বেসিক স্কুলে শুক্রবার ওষুধ খাওয়ানো হয়। তাতে কয়েকজন খুদে পড়ুয়া অসুস্থ বোধ করে এমনই অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
পড়ুয়াদের অভিভাবকরা স্কুলে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিভাবক-সহ এলাকার মানুষদের দাবি, যে জোর করে এই সমস্ত ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। এই ওষুধ খেয়ে বড় কিছু হলে তার দায় কে নেবে? এই প্রশ্নই তোলেন। কোনও অভিভাবকদের অভিযোগ, ‘বাচ্চাদের চুলের মুঠি ধরে জোর করে এই ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে।’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় ডোমজুড় থানার পুলিশ ও র্যাফ। ভারপ্রাপ্ত টিচার ইনচার্জ অমর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও ছাত্রকে জোর করে ওষুধ খাওয়ানো হয়নি। এই ওষুধ খেলে ভবিষ্যতে গোদ হবার সম্ভাবনা থাকে না। অনেক ছাত্রদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও এই ওষুধ খেয়েছেন।’