• নববর্ষের আগেই ক্ষতিপূরণ ফোরলেনের জমিদাতাদের
    বর্তমান | ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: নববর্ষের আগে মিলল ক্ষতিপূরণ। বাংলা নতুন বছর শুরুর আগে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়ে খুশি ধূপগুড়ির ফোরলেনের জন্য জমিদাতারা। তাদের অনেকে আনন্দের চোটে বলছেন, এ যেন নববর্ষের ‘ইনসেন্টিভ’ পেলাম। 

    পয়লা বৈশাখের আগে ধূপগুড়ির বারোঘরিয়া মৌজায় ফোরলেনের জন্য অধিগৃহীত সমস্ত জমির মালিকদের টাকা দেওয়া হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এজন্য প্রায় ৭কোটি ২১লক্ষ টাকা ধার্য হয়েছে। ধাপে ধাপে এই টাকা জমির মালিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে। দীর্ঘদিন টালবাহানার পর জমির টাকা ঢোকায় বারোঘরিয়া মৌজার পাশাপাশি অন্যান্য মৌজা এলাকার জমির মালিকরা উচ্ছ্বাসিত। যদিও ধূপগুড়ির সমস্ত এলাকায় জমিজট কাটেনি। তবে শীঘ্রই সেই জমিজট কেটে টাকা ঢোকা নিয়ে আশাবাদী জমির মালিকরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভেমটিয়া এলাকায় জমির দাম নিয়ে চলছে মামলা। খুব শীঘ্রই সেই মামলা সমাপ্ত হয়ে সেখানকার জমির মালিকরাও টাকা পাবেন বলে আশাবাদী। এছাড়াও পূর্ব শালবাড়ি মৌজায় এখনও জমি মাপজোখ শুরু করা যায়নি। অবশ্য জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, মৌজা ধরে ধরে মাপজোখ করা হবে। তারপর ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। আর গোটা প্রক্রিয়াই খুব দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    ধূপগুড়ি পুরসভার একটি অংশ দিয়ে ফোরলেন চলে যাবে। দফায় দফায় সেই এলাকায়ও মাপজোখ সম্পূর্ণ হয়েছে। জমির মালিক সুবোধ রায় বলেন, কত বছর ধরে দীর্ঘ টালবাহনের পর অবশেষে ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। অপর জমির মালিক সুশীল বৈদ্য বলেন, আশা করে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই ধূপগুড়ি ব্লকের সমস্ত মৌজার কৃষক টাকা পেয়ে যাবেন। ফোরলেনের প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছেন ধূপগুড়ি পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিং। তিনি বলেন, বারোঘরিয়া মৌজার জন্য ৭ কোটিরও বেশি টাকা ছেড়েছে। একটু মৌজার সমস্যা রয়েছে, তবে খুব শীঘ্রই সেই সকল সমস্যার সমাধান হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)