সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: একমাস ধরে পরিস্রুত পানীয় জল নেই কালচিনির চুয়াপাড়া চা বাগানে। নির্জলা দিন কাটানোর জন্য ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বাগানের শ্রমিক ও অন্যান্য বাসিন্দাদের। তাই পানীয় জলের দাবিতে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা শুক্রবার দলবেঁধে শহরে এসে জেলাশাসকের দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
চুয়াপাড়া চা বাগানের ছ’টি বুথে শ্রমিক ও অন্যান্য বাসিন্দা মিলিয়ে প্রায় ১৩ হাজার জনসংখ্যা। বাগানে ২৬টি লাইন রয়েছে। কালচিনি ব্লকের সবচেয়ে বড় বাগান এটি। শ্রমিকদের বক্তব্য, বাগানের নিজস্ব পাম্প থেকে যে জল দেওয়া হয় তা পর্যাপ্ত নয়। বাগানের সেই জলও গত একমাস ধরে অনিয়মিত।
ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের অভিযোগ, ভরসা বলতে তাঁদের পিএইচই’র পানীয় জল। ২০১৯ সাল থেকে বাগানের ২৬টি লাইনে পিএইচই’র পাইপ লাইন ও পাম্প বসানোর কাজ চলছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, ছয় বছরেও পিএইচই’র পাইপ লাইন পাতা ও পাম্প তৈরির কাজ শেষ হয়নি। শ্রমিকদের বক্তব্য, ইতিমধ্যেই গরম পড়তে শুরু করেছে। ফলে তাঁদের নির্জলা থাকার এই ভোগান্তি চলতে থাকবে তা হতে পারে না।
তাই জলের দবিতে এদিন অল বেঙ্গল আদিবাসী স্টুডেন্ডস ইউনিয়নের ব্যানারে বাগানের শ্রমিকরা জেলাশাসকের দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছে। সংগঠনের কালচিনি ব্লক সভাপতি তথা চুয়াপাড়া বাগানের ১২নম্বর লাইনের বাসিন্দা গুলশন মিঞ্জ বলেন, গত এক মাস ধরে বাগানে পানীয় জল অনিয়মিত। ছয় বছর ধরে পিএইচই’র পানীয় জল প্রকল্পের কাজও শেষ হয়নি। এভাবে দিনের পর দিন বাগানের শ্রমিকদের নির্জলা থাকার ভোগান্তি চলতে পারে না। প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেওয়ার পরও কাজ না হলে ফের রাস্তায় প্রতিবাদে নামব। এবিষয়ে বাগান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য মেলেনি। পিএইচই’র আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ধীরাজ মণ্ডল অবশ্য বলেন, দপ্তরের চুয়ারপাড়া চা বাগানের প্রকল্পের কাজ শেষের পথে। আর এক মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে।