সংবাদদাতা, পতিরাম: আতঙ্ক কাটছে না বালুরঘাটের কালিকাপুর হাইস্কুলের মেয়েদের হস্টেলে। বৃহস্পতিবার অনেক ছাত্রীর মা তাঁদের মেয়েদের সঙ্গে থাকলেও ‘ভূতের ভয়’ যাচ্ছে না। উল্টে বাড়ছে। অনেকের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতেও অনেক অভিভাবক নূপুরের শব্দ শুনেছেন। ফলে শুক্রবার সকাল হতে না হতেই অনেক অভিভাবক ছাত্রীদের নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেন। খবর পেয়ে হস্টেলে আসেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা সহ অন্যরা।
অভিভাবক এবং ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। শুক্রবার অনেকে হস্টেল ছাড়লেও পরীক্ষার জন্য অনেক ছাত্রী আছে এখনও। তাদের বাড়তি নিরাপত্তা দিয়েছে হস্টেল কর্তৃপক্ষ। স্কুলে রাতে সিভিক ভলান্টিয়ারের পাশাপাশি আলো এবং নিরাপত্তা রক্ষীর ব্যবস্থা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সুভাষচন্দ্র বর্মন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে অনেক অভিভাবক ছাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন। তাঁরাও নাকি ভয় পাচ্ছেন। আজ অনেককে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। ডিপিএসসি’র চেয়ারম্যান নিজে এসে বুঝিয়েছেন। তবুও আতঙ্ক কাটছে না। আজ অধিকাংশ ছাত্রীকে অভিভাবকরা নিয়ে গিয়েছেন।
ডিপিএসসি’র চেয়ারম্যান বলেন, ভূত বলে কিছু হয় না। অভিভাবক ও ছাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা বুঝছে না। স্কুলে আরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর কথা বলেছি। সিভিক মোতায়নের কথাও বলেছি। সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
স্কুল সূত্রে খবর, গার্লস হস্টেলের ৭০ জনের অধিকাংশই এদিন বাড়ি চলে গিয়েছে। পাশেই আরও ৫০ জনের বয়েজ হস্টেল রয়েছে। আতঙ্কে সেই হস্টেল থেকেও অনেকে চলে গিয়েছে। বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা স্কুলে এসে বুঝিয়েও কাজ হচ্ছে না। এতে বেশ ফাঁপড়ে পড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষকরা সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।