দক্ষিণ দিনাজপুরে সেচ সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দ্বারস্থ পদ্ম বিধায়করা
বর্তমান | ১২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: জেলার কৃষকদের সেচের সমস্যা মেটাতে কৃষি মন্ত্রকে দরবার বিজেপি বিধায়কদের। টাঙ্গন,পুনর্ভবা, আত্রেয়ী নদীর জল খরায় শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচের কাজ করতে সমস্যায় পড়ছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কৃষকেরা। কয়েক বছর ধরে খরা মরশুম শুরু হওয়ার আগেই জেলার নদীগুলি শুকোতে শুরু করেছে। বন্ধ হয়ে যায় সরকারি রিভার পাম্প মেশিন। যার ফলে সেচ করতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন জেলার কৃষকরা।
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। জেলার কৃষকদের সেচের সমস্যা মেটাতে এবারে উদ্যোগী হয়েছেন জেলার বিজেপি বিধায়কেরা। কেন্দ্রীয় সরকারের পিএম কুসুম প্রকল্পে ভর্তুকি যুক্ত সৌরচালিত পাম্প সেট যাতে জেলার কৃষকেরা পান, সেজন্য মন্ত্রকের দ্বারস্থ বিজেপি বিধায়কেরা। ইতিমধ্যে কৃষকদের তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছেন পদ্ম বিধায়কেরা। জেলার কৃষকরা সরাসরি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বলে দাবি বিধায়কদের।
কৃষকদের অভিযোগ, বাংলাদেশ নদীর জল আটকে দেওয়ায় জেলায় কৃষকরা খেতে সেচ করতে পারছেন না। গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন রায় বলেন, অশোক লাহিড়ী, বুধরাই টুডুকে নিয়ে সম্প্রতি দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের জেলায় সেচের সমস্যা রয়েছে। কেন্দ্রীয় পিএম কুসুম প্রকল্পে যাতে কৃষকরা সুবিধা পান, সেবিষয়ে জানিয়েছি। পদ্ম বিধায়কের দাবি, আমরা জেলার কৃষকদের একটি তালিকাও দিয়েছি। খুব দ্রুত প্রকল্পের সুবিধা সরাসরি পাবেন কৃষকেরা। ৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দে সৌরচালিত পাম্পসেট পাবেন কৃষকরা। যার ৭০ শতাংশ সরকার দেবে। ৩০ শতাংশ টাকা উপভোক্তাকে দিতে হবে।
যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে পদ্ম বিধায়কদের এই দরবারে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, এটা আইওয়াশ ছাড়া কিছু নয়। সুভাষের প্রশ্ন, বিজেপি বিধায়করা এতদিন ধরে কী কাজ করেছেন? জেলার তিনটি নদী নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করতে পারে, নদী খনন কাজ করতে পারে, সেগুলি তো বিজেপি করছে না। ছাব্বিশের ভোটের আগে এগুলি সব লোক দেখানো।