সংবাদদাতা, কাটোয়া: পূর্বস্থলীর মধুপুর গ্রামে রাস্তার পাশেই মাটি কেটে ট্রাক্টরে করে বিভিন্ন ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে জামালপুর-ছাতনি রাস্তা অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গভীর করে মাটি কাটায় আশপাশের বাড়িঘরে ফাটল ধরতে পারে। বাধা দিতে গেলেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে পূর্বস্থলী থানার পুলিস গিয়ে অবরোধ তোলে। পূর্বস্থলী-২ ব্লকের বিএলএলআরও সৌমী নন্দী বিশ্বাস বলেন, আমরা ওই এলাকায় তদন্ত করব।
পূর্বস্থলী-২ ব্লকের নিমদহ পঞ্চায়েতের মধুপুর গ্রামে রাস্তা থেকে কিছুটা দূরেই মাটি কাটা হচ্ছে। অভিযোগ, ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় মাটি কেটে ট্রাক্টরে ভর্তি করে সরবরাহ করা হচ্ছে। পূর্বস্থলীর পাশাপাশি কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ, গাজিপুরের ইটভাটাতেও মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর আগে মাটি কাটা রুখতে তাঁরা প্রশাসনের সমস্ত স্তরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাতে কাজ হয়নি। এতটাই গভীর করে মাটি কাটা হয়েছে যে, বর্ষায় ছোট ছেলেমেয়ে সেখানে পড়ে গেলে বিপদ ঘটতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা নিতাই মাহিষ্য দাস, সনাতন গোস্বামী বলেন, এটা ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা। ক্রমাগত গভীর করে মাটি কাটা হলে আশপাশের বাড়িতে ফাটল ধরবে। তাই আমরা রাস্তা অবরোধ করেছি। পুলিস মাটি কাটা বন্ধ করার ব্যাপারে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে। পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছি।
কেতুগ্রামের মৌগ্রামের রতনপুরেও বাবলা নদীর পাড়ের জমি থেকে মাটি লুঠ করছে মাফিয়ারা। দিনের পর দিন কৃষিজমি সাবাড় করে দেওয়া হচ্ছে। নদীর ধারে বিপজ্জনকভাবে আর্থমুভার দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলেই জুটছে হুমকি। অভিযোগ, এর জেরে নদীর গতিপথ বদলে এলাকায় ভাঙন বাড়ছে। তবু প্রশাসন নির্বিকার। মৌগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পার্থপ্রতিম চট্টোপাধ্যায় বলেন, কারা মাটি কাটছে জানি না। তবে এতে এলাকায় মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।
রতনপুরে প্রায় ১৫০টি পরিবার বাস করে। তাঁদের বেশিরভাগই নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। রতনপুর মৌজার শেষপ্রান্তে বাবলা নদীর পাড়ের কৃষিজমি থেকে দিনের পর দিন মাটি কাটছে মাফিয়ারা। শুধু তাই নয়, নৌকায় করে ভাগীরথীর মাঝে চর থেকে সাদা পলিমাটিও লুট করছে তারা। এরপর ট্রাক্টরে করে সেই মাটি পাচার করা হচ্ছে।