• জেলার ১৪টি স্কুলকে আর্থিক সাহায্য, ঘোষণা আইকেয়ারের
    বর্তমান | ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হলদিয়া: আধুনিক হলদিয়া গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সতীশচন্দ্র সামন্তের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণচন্দ্র শেঠের ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী এবং হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর। শুক্রবার প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণচন্দ্র শেঠের ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে হলদিয়া আইকেয়ার শিক্ষা সংস্থার উদ্যেগে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মসূচি ও অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। আইকেয়ারের ‘নলেজ সিটি’র ময়দানে সাড়ম্বরে ওই অনুষ্ঠান হয়। এখানে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের সর্বাধিনায়ক সতীশবাবু তমলুক কেন্দ্রে তিনবারের সাংসদ হয়েছিলেন। তিনি মৎস্যজীবীদের গ্রামকে দেশের মানচিত্রে ঠাঁই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন প্রবল পরিশ্রম করে। তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, হলদিয়াকে আদর্শ শহর গড়ে তুলতে হবে। লক্ষ্মণবাবু উত্তরসূরি হিসেবে সতীশবাবুর পতাকা তুলে নিয়েছিলেন কাঁধে। তিনি নিজের চেষ্টায়, উদ্যমে এবং প্রবল পরিশ্রমে আধুনিক শিল্পাঞ্চল গড়েছেন বলেই তাঁকে হলদিয়ার রূপকার বলা হয়। 

    অন্যদিকে, এইচডিএর চেয়ারম্যান বলেন, সতীশবাবু বন্দর তৈরির উদ্যোগ নিয়ে যে বীজ পুঁতেছিলেন, তাকে বৃক্ষে পরিণত করে বিস্তার ঘটিয়েছেন লক্ষ্মণ শেঠ। এনিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। এদিনের অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার মানুষের জমায়েত হয়। সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে জেলার ১৪টি স্কুল কয়েক লক্ষ করে টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে আইকেয়ারের পক্ষ থেকে। অনুষ্ঠানে ২০২৪ ও ২০২৫ সালের ‘আইকেয়ার জীবনকৃতী সম্মান’ দেওয়া হয়েছে বাংলার দুই শিক্ষাব্রতী সত্যম রায়চৌধুরী ও জগন্নাথ গুপ্তকে। সত্যমবাবুর পক্ষে এদিন ওই সংস্থার কলেজের প্রিন্সিপালের হাতে ওই সম্মান তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ২০২৩ সালে মাধ্যমিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রথম স্থানাধিকারী ছাত্রী তিস্তা বেরা এবং ২০২৪ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে জেলায় প্রথম স্থানাধিকারী দুই ছাত্রী সংযুক্তা সিং ও দেবপ্রিয়া বরকে ‘তমালিকা পণ্ডাশেঠ মেধা পুরস্কার’ ও রুপোর স্মারক তুলে দেওয়া হয়েছে। পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ৫০ হাজার টাকা। এদিন অনুষ্ঠান উপলক্ষে রক্তদান শিবিরে ৩৫০ জন কলেজ পড়ুয়া রক্তদান করেছেন। এদিন ৭৬ পাউন্ড কেক কেটে অতিথিদের হাতে তুলে দেন লক্ষ্মণ শেঠ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী সাঁতারু বুলা চৌধুরী, প্রাক্তন বিধায়ক ব্রহ্মময় নন্দ, আশিস লাহিড়ি, মানসী দে শেঠ, লক্ষ্মণবাবুর দুই পুত্র সায়ন্তন ও সুদীপ্তন শেঠ সহ জেলার বহু বিশিষ্ট মানুষজন। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)