• কোষাগারে টান, নতুন অর্থবর্ষে করে ছাড় রামপুরহাট পুরসভার
    বর্তমান | ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: আশানুরূপ কর আদায় না হওয়ায় রামপুরহাট পুরসভার কোষাগারে টান পড়েছে। পুরকর মেটানোর নোটিস অনেকেই উপেক্ষা করছেন। তাই কোষাগারের হাল ফেরাতে নতুন অর্থবর্ষের শুরুতে পুরকরে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করল পুরসভা। এপ্রিল, মে ও জুন মাসের পুরকর দিলে ১৫শতাংশ ছাড় মিলবে। এনিয়ে শহরে মাইকিং শুরু হয়েছে। করোনা সঙ্কটে দু’‌বছর রামপুরহাট পুরসভা কর আদায়ে জোর দেয়নি। মানুষের উপর যাতে চাপ না পড়ে, তাই ধীরে চলো নীতি নেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই বকেয়া কর আদায়ে ২৫শতাংশ ছাড় ঘোষণা করা হয়। তাতে কিছুটা সাড়া মিললেও এখনও প্রায় ছ’কোটি টাকার উপর কর বকেয়া রয়েছে। ফলে পুরসভার কোষাগারে টান পড়েছে। সূত্রের খবর, এখন রামপুরহাট পুরসভার ৬ কোটি ৭২ লক্ষ ১০ হাজার ৩১১ টাকা কর বকেয়া রয়েছে। বছর বছর অনাদায়ী করের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে ভাঁড়ার খালি হওয়ায় উন্নয়নের কাজ আটকে যাচ্ছে। বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। পুরসভা জানিয়েছে, বছরে চার কোটি টাকা কর আদায় হওয়ার কথা। সেখানে ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা আদায় হয়েছে। ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে সেটা বেড়ে হয় প্রায় দেড় কোটি টাকা। নতুন অর্থবর্ষে পুরকর আদায়ে পুরসভা সচেষ্ট হয়েছে। এপ্রিল, মে ও জুন মাসের কর দিলে ১৫শতাংশ ছাড় ঘোষণা হয়েছে। তবে বকেয়া করের ক্ষেত্রে আপাতত কোনও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত বলেন, করের টাকাতেই পুরসভা চলে। পুরসভার অধীনে প্রচুর সাফাইকর্মী রয়েছেন। তাঁরা শহর পরিচ্ছন্ন রাখেন। আশানুরূপ কর আদায় না হওয়ায় তাঁদের পারিশ্রমিক দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। এছাড়া, নানা উন্নয়নমূলক ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজের খরচ এই পুরকর থেকেই মেটানো হয়। যাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ অনেক বেশি ও ১০বছরের বেশি সময় ধরে কর বাকি রয়েছে, তাঁদের নোটিস দেওয়া হচ্ছে। এরপরও যদি তাঁরা কর না দেয়, তাহলে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হবে। তাছাড়া, এমনও কিছু মানুষ ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাদের কারও আটবছর, কারও ১০বছর কর দেওয়া বাকি রয়েছে। সেসব প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা তৈরি হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি কর আদায়কারীরা তাঁদের বাড়ি বাড়ি যাবেন। চেয়ারম্যান জানান, ২৯বছর ধরে রেল কর দিচ্ছে না। ফলে রেলের বকেয়া করের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬০৩ টাকা। ২০বছর ধরে কর না দেওয়ায় রামপুরহাট মহকুমার প্রধান ডাকঘরের বকেয়া কর দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫১৫টাকায়। তাই রেল ও ডাকঘর কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)