• গ্রীষ্মের শুরুতেই একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জল কষ্ট, পদক্ষেপের আর্জি
    বর্তমান | ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: কোথাও সজলধারা প্রকল্পের জল পরিশোধনের মেশিনে বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়া হয়েছে ‘হুকিং’ করে। কোথাও আবার সদ্য পঞ্চায়েত সমিতি থেকে ঠান্ডা জলের মেশিন দেওয়া হলেও, তা পড়ে রয়েছে অকেজো অবস্থায়। গ্রীষ্মের শুরুতে রানাঘাট-১ ব্লকের একাধিক প্রাইমারি স্কুলে পানীয় জল পরিকাঠামোর বেহাল দশা। শিক্ষক থেকে অভিভাবকরা চাইছেন, প্রশাসন উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিটি স্কুলে জলের সমস্যার সমাধান করুক।

    গ্রীষ্মের প্রাক-পর্বে সবচেয়ে করুণ পরিস্থিতি রানাঘাট-১ ব্লকের অন্তর্গত রামনগর-১ পঞ্চায়েত এলাকার ২৩বিঘা নিতাইচাঁদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সেই স্কুলে ব্লক প্রশাসনের তরফে সজলধারা প্রকল্প তৈরি করা হয়। তাতে ভূগর্ভস্থ জল আর্সেনিকমুক্ত করে পানীয় জলে পরিণত করার পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু স্কুল পরিদর্শনে দেখা গিয়েছে আজব ছবি। সেখানে সজলধারা প্রকল্পের ভূগর্ভস্থ জলের পাম্প চালাতে বিদ্যুৎ নেওয়া হচ্ছে পাশের ইলেকট্রিকের পোল থেকে, ‘হুকিং’ করে। অর্থাৎ, সরকারি জায়গাতেই নাকি বিদ্যুৎ চুরি! স্কুলের দাবি, এহেন কাণ্ড ঘটিয়েছে খোদ সেই প্রকল্পের পাম্প বসাতে আসা কর্মীরাই। সেই সময় স্কুলের তরফে পাকাপাকি বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেওয়ার আবেদন করা হলেও তা আর হয়নি। শুধু তাই নয়, দেখা গিয়েছে, সজলধারা প্রকল্পের জল পরিশোধনের প্রক্রিয়াও ওই মেশিনে সঠিকভাবে হচ্ছে না। ফলে ট্যাঙ্কের নীচে জমছে ময়লার মোটা স্তর। ফলে, পানীয় জলে দুর্গন্ধের কারণে সেই জল পান করাই যাচ্ছে না। অগত্যা, খুদে পড়ুয়াদের ভরসা স্কুলের পাশে থাকা নলকূপের জল।

    একই ছবি আঁইশতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। সেখানেও পানীয় জল দুর্গন্ধের কারণে পানের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। গ্রীষ্মে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। আবার, সুভাষপল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানীয় জলের উৎস বলতে রয়েছে, গ্রামবাসীদের জন্য তৈরি করা সজলধারা প্রকল্প। স্কুলের নিজস্ব পানীয় জলের ব্যবস্থাই নেই। সম্প্রতি প্রশাসনের তরফে ওই স্কুলের জন্য আলাদা পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)