১০ জন কর্মী হলেই পিএফের সুবিধা দিতে পদক্ষেপ সুপারিশ অছি পরিষদের
বর্তমান | ০৯ অক্টোবর ২০২২
বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরী, কলকাতা: কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যদি ন্যূনতম ১০ জন কর্মচারী থাকেন, তাহলে তাঁদের পিএফের সুবিধা দিতে হবে। এই সংক্রান্ত নতুন নিয়ম আনতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার, এমন জল্পনা ও আলোচনা চলছিলই। এবার প্রশাসনিক স্তরে সেই কাজ অনেকটাই এগল। আশা করা হচ্ছে, এই ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
ন্যূনতম ১০ জন কর্মচারী থাকলে পিএফের সুবিধা চালু করার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গনাইজেশন বা ইপিএফও’র। সেখানকার অছি পরিষদের বৈঠকে যদি সম্মতি মেলে, তাহলে সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য সুপারিশ করা হয় শ্রমমন্ত্রকে। সেই সুপারিশকেই সিলমোহর দেয় কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। প্রসঙ্গত, ইপিএফও’র অছি পরিষদের চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী স্বয়ং। তাই ধরে নেওয়া হয়, অছি পরিষদের সুপারিশ মেনে নেবে মন্ত্রক।
অছি পরিষদ বা সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্ট্রি সর্বশেষ যে বৈঠক করেছে, সেই সভার কার্য বিবরণী সম্প্রতি প্রকাশ করেছে ইপিএফও। সেই কার্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, ন্যনূতম ১০ জন কর্মচারী থাকলেই পিএফের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি শীঘ্রই সুপারিশ করা হবে শ্রমমন্ত্রকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তা যদি কার্যকর হয়, তাহলে দেশের ছোট সংস্থাগুলির কোটি কোটি কর্মচারী উপকৃত হবেন।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী কোনও সংস্থায় অন্তত ২০ জন কর্মচারী থাকলে, সেখানে কর্মীদের পিএফের সুবিধা দিতে বাধ্য থাকে কর্মদাতা সংস্থা। কর্মী সংখ্যা যদি তার নীচে হয়, তাহলে সংস্থা চাইলে তবেই পিএফের সুযোগ পান কর্মীরা। অর্থাৎ তা আইনগতভাবে নয়, স্বেচ্ছায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য এই নিয়মের ব্যতিক্রম আছে।
অছি পরিষদের ২৩১তম বৈঠকে সেখানকার অন্যতম সদস্য এস কে শর্মা অবশ্য কর্মী সংখ্যা দশে নামিয়ে আনার বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এতে ক্ষুদ্র শিল্পগুলির উপর আর্থিক চাপ বাড়বে। তাঁর পরামর্শ, একবার নিয়মটি কার্যকর হয়ে গেলে, তারপর যদি কোনও সংস্থা কর্মীদের পিএফের আওতায় আনতে দেরি করে অথবা তাদের তরফে পিএফের টাকা জমা করতে বিলম্ব হয়, তাহলে যেন সঙ্গে সঙ্গে তাদের জরিমানা না করা হয়।