• সন্তোষপুরে ভরদুপুরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে লুটের চেষ্টা, ২৭ বছর পর ডাকাতির আতঙ্ক ফিরতেই সক্রিয় কলকাতা পুলিস!
    বর্তমান | ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২৭ বছর পর ব্যাঙ্ক ডাকাতির আতঙ্ক ফিরে এল কলকাতা শহরে! শেষবার কলকাতায় ব্যাঙ্ক ডাকাতি হয়েছে ১৯৯৮ সালে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের খিদিরপুর শাখায়। সেবার মোট ৮৫ লাখ টাকা লুট করে পালায় ঝাড়খণ্ডের একটি ডাকাত দল। তারপর থেকে আর ব্যাঙ্ক ডাকাতি হয়নি কলকাতা শহরে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছে, ‘খিদিরপুরের সেই ডাকাতির মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন।’   

    আর পাঁচটা চিরাচরিত অপরাধের মতো হালফিলে কলকাতা শহরে ডাকাতি আর তেমন হয় না বললেই চলে। ফলে কালের নিয়মে লালবাজারের ডাকাতি-দমন শাখা গুরুত্ব ও জৌলুস দুই হারিয়েছে! এহেন শহরে শুক্রবার শুক্রবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ  হঠাৎ ৪৯ নম্বর, সন্তোষপুর অ্যাভিনিউতে  রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিপদ ঘণ্টি (সাইরেন) বেজে উঠতেই আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয় সার্ভে পার্ক থানা থেকে লালবাজারের অলিন্দে। শুধু পুলিস নয়, আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ভিড়ে ঠাসা সন্তোষপুরের ওই অংশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও। 

    ভর দুপুরে সন্তোষপুরে ব্যাঙ্ক ডাকাতির খবর চাউর হতেই তৎপর  হয়ে ওঠে কলকাতা পুলিস। মাঠে নামেন ডাকাতি দমন শাখার গোয়েন্দারা। যাদবপুর, পূর্ব যাদবপুর, পঞ্চসায়র, গরফা, কসবা, পাটুলি, নেতাজিনগরের মতো সীমান্তবর্তী থানা এবং ট্রাফিক গার্ডের পুলিস অফিসাররা তড়িঘড়ি পথে নেমে পড়েন। পলাতক ডাকাতদের খোঁজে শুরু হয়ে যায় নাকা চেকিং। কিন্তু মিনিট দশেকের মধ্যে সন্তোষপুরে ব্যাঙ্কের ভিতর থেকে খেলনা পিস্তল হাতে যুবক ধরা পড়তেই উত্তেজনা পারদ নেমে আসে। কিন্তু তাতে অবশ্য ডাকাতি দমন শাখার গোয়েন্দাদের চাপ বিন্দুমাত্র কমেনি। কারণ, বড়তলায় বৃদ্ধাকে বেধে লুটের এখনও কিনারা করতে পারেনি লালবাজার। তেমনিই, ২০১৭ সালের বেনিয়াপুকুর থানার নিউ পার্ক স্ট্রিটের সোনা বন্ধক রেখে ঋণদানকারী সংস্থা থেকে ২.৮৮ কোটি টাকার সোনা ডাকাতির এখনও কিনারা হয়নি। পুলিসের একাংশ স্বীকার করছেন, যতই খেলনা পিস্তল নিয়ে হানা হোক না কেন, সবমিলিয়ে সার্ভে পার্কে ভরদুপুরে ব্যাঙ্ক ডাকাতির চেষ্টা, নতুন করে অশনি সঙ্কেত হতে চলেছে লালবাজারের গোয়েন্দাদের কাছে!
  • Link to this news (বর্তমান)