নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিরোধীদের রাজনীতি ভুক্তভোগীরা ভালো চোখে দেখছেন না। শুক্রবার কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থীর মিছিল সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে এসএসসির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আচার্য সদনে পৌঁছয়। সেখানে গিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে বিজেপি এমপি তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ‘গো ব্যাক’ শুনতে হয়। প্রসঙ্গত, চলতি আবহে অভিজিৎবাবুর বক্তব্যের পুরনো একটি ভিডিও
সামনে এসেছে। সেখানে তাঁকে রীতিমতো বুক ফুলিয়ে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি চাকরি খেয়েছি, সুপ্রিম কোর্টের স্টে-তে বেঁচে রয়েছে, শিগগির
মারা যাবে।’ তাই তাঁকে আন্দোলনের অংশ করতে চাননি চাকরিহারারা। অভিজিৎবাবুও বিক্ষোভকারীদের পাল্টা সিপিএম, নকশাল, এসইউসি ইত্যাদি বলে দেগে দেন।
বিকাশ ভবনের বৈঠক শেষে প্রসঙ্গটি চাকরিহারাদের প্রতিনিধিদের সামনে তোলা হয়। তাঁরা বলেন, ‘চাকরি বাতিলের রায় আপাতত কার্যকর না করার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে। আজ যাঁরা আমাদের সমব্যথী হচ্ছেন, তাঁরা সেই মামলায় কোন পক্ষ নেন, আমরা দেখব। তাতেই স্পষ্ট হবে, কার কী ভূমিকা।’ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই। এঁরাই আবার চাকরিহারাদের পাশে এসে কুনাট্য রচনা করছেন।’ কসবায় ডিআই অফিস অভিযানে অংশ নেওয়া এক আন্দোলনকারী ‘পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া’র কথা বলেছিলেন। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন আন্দোলনকারী চাকরিহারারা। এ প্রসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, ‘উনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাই নিজেকেই পুড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন।’
এদিকে, রাজ্য সরকার এই পরিস্থিতিতে র্যাশনালাইজেশনের আওতায় হওয়া সমস্ত শিক্ষক বদলি বাতিল করে ফের তাঁদের পুরনো জায়গায় যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এনিয়ে একটি প্রধান শিক্ষক সংগঠনের নেতা কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, ‘নয়া ডামাডোল তৈরি হবে। স্কুল এবং শিক্ষক উভয়ই সমস্যায় পড়বে।’ প্রসঙ্গত, ৩০ এপ্রিল থেকে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলে গরমের ছুটির বিজ্ঞপ্তিও এদিন প্রকাশ করেছে দপ্তর এবং পর্ষদগুলি।