• আমডাঙায় গুলিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা, অধরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি
    বর্তমান | ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: তৃণমূল কর্মীকে গুলি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম রাকিবুল ইসলাম। তার বাড়ি আমডাঙার বোদাই গ্রাম পঞ্চায়েতের খুঁড়িগাছি এলাকায়। শুক্রবার তাকে বারাসত আদালতে তোলা হলে পাঁচদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

    স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খুঁড়িগাছি গ্রামে গত বছর ২৮ আগস্ট রাতভর তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি আমডাঙা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের লক্ষ্য করেও বোমা ছোড়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয় পুলিসকে। এর জেরে বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই দিন তৃণমূল কর্মী নাসিরউদ্দিন মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে বোমা ও গুলি চালানোর অভিযোগে ওঠে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রাকিবুল ইসলাম ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। নাসিরউদ্দিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয় এনআরএস হাসপাতালে। এ নিয়ে নাসিরউদ্দিনের স্ত্রী তসলিমা বিবি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রাকিবুল ইসলাম, আমডাঙা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান সহ আরও দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আমডাঙা থানায়। দু’জন গ্রেপ্তার হলেও পলাতক ছিলেন রাকিবুল ও আনিসুর। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে পুলিসের পক্ষ থেকে শুরু হয় তৎপরতা। দীর্ঘদিন পর পঞ্চায়েত সদস্য রাকিবুলকে দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি থেকে পাকড়াও করে পুলিস। তবে, এখনও অধরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান। তার আগাম জামিন মঞ্জুর করেনি বারাসত আদালত। পুলিসের খাতায় এই নেতা এখনও অধরা। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত সদস্য রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা তোয়েব আলির দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এই দুই নেতার ভয়ে কার্যত কাঁটা এলাকার মানুষ। এনিয়ে আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান বলেন, রাকিবুলের বিরুদ্ধে মারধর ও গুলি চালানোর অভিযোগ ছিল, তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে, ওর বিরুদ্ধে পুলিস মিথ্যা মামলা দিলে জোরালো আন্দোলন হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)