• চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে নয়া ধন্দে প্রধান শিক্ষকরা
    এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি। তার পর থেকে প্রায় ৯ দিন কেটে গেলেও শিক্ষা দপ্তর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বা ডি.আই-র কাছ থেকে কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশিকা পৌঁছয়নি স্কুলে স্কুলে। এদিকে, সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীই সুপ্রিম রায়ের পর থেকে স্কুলমুখো হননি। তবে, মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে এবং ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে একাংশ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী স্কুলে যাচ্ছেন। আশঙ্কা ও দুশ্চিন্তা বুকে চেপে রেখেই তাঁরা ক্লাস নেওয়া থেকে শুরু করে নিজেদের কর্তব্য পালন করছেন। তবে, তাঁরা স্কুলের উপস্থিতির খাতা বা রেজিস্ট্রারে সই করবেন কিনা; তা নিয়েই ধন্দে প্রধান শিক্ষকরা।

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও দেখা দিয়েছে এই সমস্যা! যদিও, এই শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের এখনও 'টার্মিনেশন লেটার' ধরানো হয়নি পর্ষদ বা ডি.আই অফিসের তরফে। তা সত্ত্বেও সুপ্রিম রায়ের কথা ভেবে অনেক প্রধান শিক্ষকই এনিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই সময় অনলাইন-কে।

    শালবনী ব্লকের কলাইমুড়ি নেতাজি সুভাষ হাইস্কুলের ১ জন শিক্ষিকা ও ৩ শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে সুপ্রিম রায়ে। একাদশ-দ্বাদশের দর্শন (ফিলোজফি) বিষয়ের ওই শিক্ষিকা মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে গত মঙ্গলবার ও বুধবার স্কুলে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ছুটি ছিল। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ব্যক্তিগত কারণে তিনি স্কুলে যাননি। তবে চাকরিচ্যুত ওই ৩ শিক্ষাকর্মী অবশ্য শুক্রবার স্কুলে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাষ জানা। তাঁরা যথারীতি শিক্ষকদের রেজিস্ট্রার খাতায় স্বাক্ষরও করেছেন।

    অপরদিকে, মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষক ও ২ জন শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। গত ৭ দিনে কেউই স্কুলে আসেননি। তবে শুক্রবার অঙ্কের এক শিক্ষিকা স্কুলে এসেছিলেন বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম ভৌমিক। তিনি ক্লাসও করেছেন যথারীতি। তবে রেজিস্ট্রার খাতায় সই? প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ওটা নিয়েই একটু দুশ্চিন্তায় ছিলাম! কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশিকা আসেনি।’ শেষ পর্যন্ত অবশ্য ওই শিক্ষকাও সই করেছেন বলেই জানা যায়। এ নিয়ে জেলার ডিআই স্বপন সামন্তকে ফোন করা হলেও তিনি এই বিষয়ে কোনও 'সদুত্তর' দেননি! তবে, প্রধান শিক্ষকদের একটি সংগঠনের জেলা নেতৃত্বে তরফে ড. অমিতেশ চৌধুরী জানান, " যতক্ষণ না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে কোন নির্দেশিকা আসছে, তাঁরা আগের মতোই সবকিছুই করবেন। এমনকি সই করলেও আমাদের বাধা দেওয়ার কোন উপায় নেই!’

  • Link to this news (এই সময়)