• ট্রেন থেকে থুতু ফেলতে গিয়ে বিপত্তি, সিগন্যাল পোস্টে ধাক্কা যাত্রীর
    এই সময় | ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • রেলের সমস্ত রকম বাধা নিষেধকে হাওয়ায় উড়িয়ে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত যাত্রী। ট্রেনের গেট থেকে মুখ বের করে থুতু ফেলতে গিয়ে সিগন্যাল পোস্টে ধাক্কা খেয়ে সাংঘাতিক আহত হন এক যাত্রী। রীতিমতো ট্রেনের ভিতরে ছিটকে পড়েন। মাথা ফেটে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাওয়া আহত যাত্রীর সহায়তায় এগিয়ে আসেন এক তরুণ।

    আহত ওই যাত্রীকে কয়েকজন সহযাত্রীর সাহায্যে চন্দননগর স্টেশনে নামান সায়ন্তন সরকার। তিনি ওই ট্রেনেরই এক যাত্রী। সায়ন্তন ওই ট্রেনেই উত্তরপাড়া থেকে চুঁচুড়ায় নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। তরুণ যাত্রী চোখের সামনে এরকম দুর্ঘটনা দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তাঁর এক বন্ধুকেও ফোন করে ডাকেন। তারপর চন্দননগর স্টেশন থেকে টোটো করে আহত এই যাত্রীকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যান। আহত যাত্রীর মাথায় সাতটি সেলাই পড়ে। তার কাছে থাকা মোবাইল নিয়ে বাড়িতে খবরও দেন সায়ন্তন।

    জানা গিয়েছে, আহত যাত্রীর নাম সেজাবুর রহমান(১৮) মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার মহুরুল অনন্তপুরে বাড়ি। তিন দিন আগে মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় আসেন কাজের সূত্রে। এক পরিচিতর সঙ্গে বীরশিবপুরে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন তিনি। ভালো লাগছে না বলে শুক্রবার ফিরছিলেন বাড়ি। হাওড়া থেকে ব্যান্ডেলগামী মাতৃভূমি লোকালে উঠেছিলেন। ব্যান্ডেল থেকে কাটোয়া লোকাল ধরে কাটোয়া যাওয়ার কথা ছিল। সেখান থেকে খাগড়াঘাট হয়ে বাড়ি পৌঁছানোর কথা ছিল সেজাবুরের। কিন্তু, মানকুন্ডু থেকে চন্দননগর ঢোকার আগে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন চন্দননগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বলে জানা গিয়েছে। সায়ন্তন বলেন,‘আমরা ট্রেনের ভেতরে দাঁড়িয়েছিলাম। গেটের বাইরে মুখ বাড়িয়ে ওই যাত্রী থুথু ফেলতে যায়। হঠাৎ করে একটা শব্দ হলো ছিটকে ট্রেনের ভেতরেই পড়ে গেল সে। পা দুটো বাইরে ছিল আমরা তাকে ট্রেনে ভেতরে ঢোকালাম।আটটা নাগাদ চন্দননগর স্টেশনে ঢুকছিল ট্রেনটি।কয়েকজন যাত্রীর সাহায্যে তাকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাই। বাড়িতেও খবর দিই।রাজমিস্ত্রির কাজে কলকাতা এসেছিল। এদিন বাড়ি ফিরছিল।’ হাসপাতাল সূত্রে খবর, আহত ওই যাত্রীর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।

  • Link to this news (এই সময়)