১৫০ ফুট উঁচু টাওয়ারে উঠে পড়ল কিশোর, উদ্ধার করতে হিমশিম দমকল ও পুলিশের, ঘটনায় হইচই...
আজকাল | ১২ এপ্রিল ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার ঘটনাটি ঘটল ফালাকাটা ব্লকের উত্তর দেওগাঁও এলাকায়। জানা গেছে এদিন দুপুরে বছর ১২-র রাজদীপ বর্মন নামে এক কিশোরকে এলাকার এক মোবাইল টাওয়ারের উপরে দেখতে পান স্থানীয়রা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। দুর্ঘটনার আশঙ্কা করে তড়িঘড়ি পুলিশ ও দমকলে খবর দেওয়া হয়। ওই টাওয়ার থেকে তাঁকে নামাতে কালঘাম ছুটে যায় পুলিশ ও দমকল কর্মীদের।
জানা গেছে এদিন দুপুর নাগাদ ওই কিশোরকে এলাকার মোবাইল টাওয়ারে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরেই কিশোরের বাবা কৃষ্ণ বর্মন'কে ঘটনার খবর দেয় গ্রামবাসীরাই। খবর পেয়ে কৃষ্ণ বর্মন ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবাক। কারণ কিছুক্ষণ আগেই তাঁর একমাত্র মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে রাজদ্বীপ বর্মন দুপুরের খাওয়া খেয়ে সাইকেল নিতে হবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু তাকে প্রায় ১৫০ ফিট উঁচু মোবাইল টাওয়ারে দেখতে পাবেন, সেটা ভাবেননি বাবা কৃষ্ণ বর্মন। এরপরেই খবর দেয়া স্থানীয় পুলিশ দমকল কর্মীদের। খবর পেয়ে বিকেল ৫টা নাগাদ পুলিশ ও দমকল কর্মীরা পৌঁছয়। কিন্তু কিশোরের মানসিক পরিস্থিতির কথা শুনে ঝুঁকি নিতে চায়নি দমকল কর্মীরা। কারণ অনেকবার পরিবার ও গ্রামবাসীদের অনুরোধেও সাড়া দেয়নি রাজদ্বীপ। ফলে দমকল কর্মীরা উদ্ধার করতে গেলে যেকোনো সময় অঘটন ঘটতে পারে। সেই আশংকায় বাধ্য হয়ে চুপ থাকতে হয় পুলিশ ও দমকল কর্মীদের। সন্ধ্যা হলে কিশোরের চোখে ধুলো দিয়ে, দমকল কর্মীরা টাওয়ারে উঠে তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
অবশেষে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ টাওয়ার থেকে নামানো হয় ওই কিশোরকে। এদিন মোবাইল টাওয়ারে চড়া কিশোরকে দেখতে ভিড় জমে যায় এলাকায়। তবে বড়সড় দুর্ঘটনা যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারত বলে দাবি সকলের।
এই বিষয়ে কিশোরের বাবা কৃষ্ণ বর্মন বলেন, "আমার ছেলে দুপুর খাওয়া খেয়ে সাইকেল আনতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সে যে মোবাইল টাওয়ারে উঠে পড়বে, একবারও আন্দাজ করিনি। স্থানীয়রা খবর না দিলে জানতেই পারতাম না। ভগবানের অশেষ কৃপা, ওকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেয়েছি"।
স্থানীয় বলরাম দে জানান,"এলাকার একটি মানসিক ভরসাম্যহীন ১২ বছরের একটি ছেলে টাওয়ারের উঠে পরে। পরে দমকলের কর্মীরা এসে নিরাপদে ছেলেটিকে নামিয়ে আনে।" এবিষয়ে ফালাকাটা দমকল বিভাগের আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় রায় বীর বলেন, "কয়েকঘণ্টা চেষ্টার পর নিরাপদে কিশোরকে নামানো সম্ভব হয়।"