সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাকরিহারাদের সঙ্গে শুক্রবারই বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠক যথেষ্ট ইতিবাচক। তবে তা সত্ত্বেও পথেই চাকরিহারারা। সল্টলেকের এসএসসি ভবনের সামনে এখনও অনশনে তিন চাকরিহারা। তাঁরা হলেন সুমন বিশ্বাস, পঙ্কজ রায় এবং প্রতাপ রানা। চাকরি ফেরৎ না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলেই দাবি তাঁদের। এদিকে, আবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে চাকরিহারাদের অবস্থান। তার আগে এসএসসি ভবনের সামনে রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
চাকরিহারাদের দাবি, রোদবৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে অনশন মঞ্চের কাছে চাদর দিয়ে ছাউনি দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। অভিযোগ, তাতে বাধা দেয় পুলিশ। অনশন মঞ্চের কাছে ছাউনি দেওয়া যাবে না বলেই সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে কেন করা যাবে না, সে বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট কোনও কারণ পুলিশের তরফে উল্লেখ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ প্রক্রিয়া ‘অসাংবিধানিক’ ও ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ বলে তোপ দেগে সম্প্রতি এসএসসির ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এক নিমেষে চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সেই চাকরিহারাদের মধ্যে যারা ‘যোগ্য’তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার জানান, ‘যোগ্য’ একজনেরও চাকরি যাবে না। একাধিক বিকল্প পরিকল্পনা করা রয়েছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী সকলকে নিয়মিত স্কুলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন, “কাজ করে যান। বাচ্চাদের শিক্ষা দিন। ২ টো মাস কষ্ট করুন।”
তাতেও স্কুলমুখো হননি ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের একটা বড় অংশ। বরং অধিকার বুঝে নিতে আন্দোলনের পথ বেছে নেন তাঁরা। বুধে চাকরিহারাদের ডিআই অফিস অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা বাংলা। কসবায় লাঠিচার্জের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এরই মাঝে মহামিছিল ও এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। সেই মিছিলে পা মেলান জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতো, আসফাকুল্লা নাইয়া থেকে শুরু করে বাদশা মৈত্ররা। ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবিতে শুক্রবার এসএসসি ভবন অভিযান করেন চাকরিহারারা। ওইদিনই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেন ১৩ জন চাকরিহারা। বৈঠক ইতিবাচক।